দক্ষিণ ২৪ পরগনা: নাটাপুকুরে আগ্নেয়াস্ত্র, বোমা ও বোমা বাঁধার সরঞ্জাম উদ্ধারের ঘটনায় গ্রেফতার আরো এক। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম আমির আলি ওরফে ফিট্টু। ওই ব্যক্তিও এলাকায় আইএসএফ কর্মী বলেই পরিচিত। যদিও ওই ব্যক্তির বক্তব্য, “আইএসএফ করার অপরাধেই আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে।” পাল্টা তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধেই অভিযোগ তুলেছেন ফিট্টু।
ভাঙড়ের কাশীপুর থানার নাটাপুকুরে বিপুল পরিমাণে বোমা তৈরির মশলা উদ্ধার হয় বৃহস্পতিবার। পাশাপাশি উদ্ধার হয় বোমা বাঁধার বিভিন্ন সরঞ্জাম। রাতে নবিরুল মোল্লা নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণে অস্ত্র-বোমা ও বোমার মশলা উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশ ওই ব্যক্তি ও তাঁর বড় ছেলেকে আগেই গ্রেফতার করেছিল।
পুলিশি জেরায় নবিরুল মোল্লা জানিয়েছিলেন, তাঁকে আমির আলি ওরফে ফিট্টু নামের এক যুবক বোমা বাঁধার বরাত দিয়েছিলেন। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ফিট্টুকে গ্রেফতার করে কাশীপুর থানার পুলিশ। বৃহস্পতিবার ধৃতদের বারুইপুর মহাকুমা আদালতে পাঠানো হবে। ফিট্টুর বক্তব্য, “আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে। টিএমসির লোক, বুথ সভাপতি ফাঁসাচ্ছে। আমি আশা করছি, সঠিক তদন্ত হলে আমি ছাড়া পেয়ে যাব।”
প্রসঙ্গত, প্রথম থেকেই ধৃত নবিরুল ও তাঁর ছেলের রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে তরজা তুঙ্গে ওঠে। প্রথমে শাসকদলের তরফ থেকে বলা হয়, ধৃতরা আইএসএফ কর্মী। অন্যদিকে, পাল্টা আইএসএফের দাবি, গ্রেফতার বাবা ছেলের সঙ্গে তৃণমূলের সম্পর্ক রয়েছে। পুলিশি জেরায় ধৃত নবিরুল জানান, আইএসএফ কর্মীই তাঁকে বোমা বাঁধার বরাত দিয়েছিলেন। আপাতত এই নিয়ে রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে। ফিট্টুর ভাই বলেন, “নবিরুল মিথ্যা বলছে। কারণ নবিরুল তৃণমূল নেতাদের চাপে পড়েই আমার ভাইকে ফাঁসাচ্ছে। দু’মাস আগে বোমা কেসেই নবিরুলকে পুলিশ ধরেছিল। তখন তৃণমূলের নেতারাই ওকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। এখন কীভাবে বলছে ও আইএসএফ করে!”
এদিকে, স্থানীয় তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম বলেন., “যাকে গ্রেফতার করা হয়েছে, সে তো নিজেই বলছে আইএসএফ কর্মী। আজকেও আইএসএফ কর্মীই গ্রেফতার হয়েছে। এটার সঙ্গে আইএসএফ জড়িত। পুলিশ যে কাউকে ধরে জেলে ঢুকিয়ে দিতে পারে না।”
প্রসঙ্গত, বুধবার রাতে ভাঙড়ের কাশীপুর এলাকায় একটি বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও বোমা তৈরির মশলা উদ্ধার করে। উদ্ধার হয় ৫টি সকেট বোমা, একটি বন্দুক, একটি কার্তুজ, ১৪-১৫ কেজি বারুদ, বোমা তৈরির প্রচুর সামগ্রী এবং যন্ত্রাংশ।