ভাঙড়: রাত পোহালেই বঙ্গে সপ্তম দফার ভোট। ভোট রয়েছে স্পর্শকাতর এলাকা ভাঙড়েও। অশান্তিপ্রবণ ভাঙড় ভোটের আগেও তার ‘চরিত্র’ বজায় রাখল। বৃহস্পতিবার রাত থেকে তপ্ত হয়ে উঠল ‘আরাবুলহীন’ ভাঙড়। ভাঙড়ের ভোগালিতে ফের তৃণমূল-আইএসএফ সংঘর্ষ। রেহাই পেল না শিশুও। বোমাবাজিতে জখম এক শিশু-সহ ৭ জন। তৃণমূলের অভিযোগ, রাতে তাদের কর্মীদের লক্ষ্য করে অতর্কিতে বোমা মেরেছে আইএসএফ। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা বোমাবাজির অভিযোগ তুলেছে আইএসএফ। গুরুতর আহত চার জনতে জিরানগাছা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানে তাঁদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় রাতেই তাঁদের পিজি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। রাতেই আহতদের দেখতে হাসপাতালে যান সায়নী ঘোষ, অরূপ বিশ্বাসরা। ছিলেন শওকত মোল্লাও।
তৃণমূলের আহত এক কর্মী হাসপাতালের বেডে শুয়েই বলেন, “রাস্তা দিয়ে মিছিল করে যাচ্ছিলাম। ওরা আমাদের মিছিলের ওপরেই হামলা করে। প্রায় তিরিশটার মতো বোমা মেরেছে। আমার পা ঝলসে গিয়েছে।” আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির গ্রেফতারির দাবি তুলেছেন ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লা। তাঁর অভিযোগ, “রাজনৈতিকভাবে না পেরে পঞ্চায়েত নির্বাচনের মতো সন্ত্রাস তৈরি করছে নওশাদ সিদ্দিকি। ৫ জন গুরুতর আহত। একটা শিশুও আহত হয়েছে।”
হাসপাতালের বাইরে সায়নী ঘোষ বলেন, “আইএসএফের পায়ের তলার থেকে মাটি সরে যাচ্ছে, সেটা বুঝেই হামলা করছে। বাড়ি বাড়ি ভোটের স্লিপ দিতে গিয়েছিল। ষড়যন্ত্র করে এই হামলা চালানো হয়েছে।” অরূপ বিশ্বাস বলেন, “হারার আগেই আসলে ওরা হার মেনে নিয়েছে। ” এখনও নিয়ে এই নিয়ে আইএসএফের বক্তব্য, “তৃণমূলের লোকেরাই বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি দিচ্ছিল। নিজেরাই সন্ত্রাস তৈরির জন্য বোমা মেরেছিল। আর তাতেই আহত হয়। এখন আইএসএফের নামে দোষ চাপাচ্ছে।”