দক্ষিণ ২৪ পরগনা: দুই অপ্রাপ্ত বয়স্কের বিয়ে হচ্ছে। খবরটা পৌঁছেছিল পুলিশের কাছে। বাহিনী নিয়ে সেখানে পৌঁছন এসআই। কিন্তু ততক্ষণে ছাদনাতলা থেকে পালিয়ে যান নাবালিকা ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা। বাড়ির লোককে পুলিশ কর্তা বোঝাতে চেয়েছিলেন, যাতে বয়স হওয়ার আগেই মেয়ের বিয়ে না দেন তাঁরা। তাই গ্রামে ঢুকেছিলেন নাবালিকার বাড়ি খুঁজতে। সেখানে গিয়েই আক্রান্ত হতে হল পুলিশকে। গ্রামে ঢুকতেই পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোড়ার অভিযোগ ওঠে নাবালিকার প্রতিবেশী ও পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে। ইটের আঘাতে এসআই ও এক ভিলেজ পুলিশ কর্মী আহত হয়েছেন। ইটের আঘাতে তাঁদের মাথা ফেটে গিয়েছে। ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ক্যানিং থানার গোপালপুর পঞ্চায়েত এলাকার সর্দার পাড়া এলাকায়। পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবার রাতের গ্রেফতারির পর মঙ্গলবার সকালে মধু সর্দার নামে আরও এক জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সর্দারপাড়া এলাকায় এক নাবালিকার বিয়ের আয়োজন করা হয় বলে খবর পায় ক্যানিং থানার পুলিশ।পুলিশ সেই নাবালিকার বিয়ে বন্ধ করতে এলাকায় যায়। এদিকে ক্যানিং থানার পুলিশ আসার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় নাবালিকা সহ পরিবারের লোকজন।
রাতেই পুলিশ ওই নাবালিকার বাড়িতে যাওয়ার চেষ্টা করে। অভিযোগ, তখন এলাকার লোকজন পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে করে ইট মারেন। এই ঘটনায় পুলিশের গাড়ির কাচ ভেঙে যায়। এরপর তাঁরা পুলিশকে ঘিরে রেখে তাঁদের মারধর করেন। এমনকি ইটের আঘাতে ক্যানিং থানার এসআই-সহ এক ভিলেজ পুলিশ কর্মীর মাথা ফেটে যায়।এই ঘটনায় পুলিশ সঞ্জয় মণ্ডল নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে সোমবার রাতেই। মঙ্গলবার সকালে আরও এক জনকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশের তরফে বলা হয়েছে, গ্রামের মানুষকে আরও বেশি সচেতন হতে হবে। পুলিশ গ্রামে গিয়েছিল বোঝাতে, সেখানেই পুলিশের ওপরেই হামলা হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি অভিযুক্তদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে।