Canning: হাতিয়ার ফেসবুক, ছাত্রমৃত্যুতে অভিযুক্তকে বিহার থেকে গ্রেফতার

Abhigyan Naskar | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Feb 13, 2024 | 5:01 PM

Canning: পরিবারের দাবি, তারপর থেকে আর বাড়িতে আর ফেরেনি। মেয়েকে খুঁজে না পেয়ে ক্যানিং থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই ছাত্রীর বাবা। এদিকে বিহারের ফুটানি চক থেকে সুজন ওই ছাত্রীকে নিয়ে যান তাঁর বাড়িতে। বিয়েও করেন।

Canning: হাতিয়ার ফেসবুক,  ছাত্রমৃত্যুতে অভিযুক্তকে বিহার থেকে গ্রেফতার
গ্রেফতার অভিযুক্ত
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

দক্ষিণ ২৪ পরগনা:  সামাজিক মাধ্যমকে কাজে লাগিয়ে সুদূর বিহার রাজ্য থেকে এক কলেজ ছাত্রী মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল ক্যানিং থানার পুলিশ। সুদূর বিহার রাজ্য থেকে এক যুবককে গ্রেফতার করে আনল ক্যানিং থানার পুলিশ। ধৃতের নাম সুজন দাস। ধৃতের বাড়ি বিহারের পূর্ণিয়া জেলার লালগঞ্জ মারেঙ্গা থানার ফুটানি চক গ্রামে। ফেসবুকেই ক্যানিংয়ের বঙ্কিম সরদার কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী খয়রুন্নেসা খাতুনের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয় বিহারের ফুটানি চক গ্রামের সুজনের।সম্পর্ক গাঢ় হতে বিয়ে করার প্রস্তাব দিয়ে চাপ দিতে থাকে সুজন। অভিযোগ,  বিয়ে না করলে তার পরিবারকে মৃত্যুর মুখে পড়তে হবে বলেও হুমকি দেন ওই যুবক।পরিবারের সকল কে বাঁচাতে এবং পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে ওই কলেজ ছাত্রী গত ২০২২ এর ১৭ নভেম্বর কলেজে যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বের হয়।

পরিবারের দাবি, তারপর থেকে আর বাড়িতে আর ফেরেনি। মেয়েকে খুঁজে না পেয়ে ক্যানিং থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই ছাত্রীর বাবা। এদিকে বিহারের ফুটানি চক থেকে সুজন ওই ছাত্রীকে নিয়ে যান তাঁর বাড়িতে। বিয়েও করেন। অভিযোগ, এরপর থেকেই সুজন ও তাঁর বাবা দুর্যোধন দাস, মা অনিতা দাস ওই ছাত্রীর উপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করতেন। এমনকি ২৫ লক্ষ টাকাও দাবি করেন বলে অভিযোগ।

এরপর কোন রকমে বিহার থেকে খয়রুন্নেসা খাতুন ২০২২ এর ২০ ডিসেম্বর পালিয়ে চলে আসেন ক্যানিংয়ের বাড়িতে। তারপরও তাঁকে ফোনে উত্ত্যক্ত করে নানা ধরনের হুমকি দেওয়া হত বলে অভিযোগ। এরপর মানসিকভাবে বিধ্বস্ত হয়ে কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যা করেন ওই ছাত্রী।

পরিবার থানায় ওই যুবকের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ দায়ের করেন। বিহারের ওই যুবককে ধরতে ক্যানিং থানার পুলিশ তৎপর হয়। সুজন তারপর থেকেই বেপাত্তা ছিল। অবশেষে ক্যানিং থানার পুলিশ সামাজিক মাধ্যমকে ব্যবহার করে ওই যুবকের খুঁটিনাটি উদ্ধার করে। এরপর নির্দিষ্ট তথ্যের উপর নির্ভর করে ১০ ফেব্রুয়ারি ক্যানিং থানার তিন সদস্যের পুলিশ টিম বিহারে যায়। সেখানে বিহার পুলিশের সাহায্যে রবিবার দুপুরে সুজনকে বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে। সোমবার রাতে সুজনকে নিয়ে ক্যানিং থানার পুলিশ টিম ফিরে আসে। মঙ্গলবার ধৃতকে আলিপুর আদালতে তোলা হয়।

Next Article