সোনারপুর: গাড়ি বিক্রির বিজ্ঞাপন দেখেই হাজির হতেন ‘ক্রেতা’রা। কথাবার্তা, দরদামের পর সব ঠিক সব ঠিক হলে গাড়ি কেনার দিন স্থির হত। হাতে চেক পেয়ে তবেই গাড়ি ছাড়তেন গাড়ির মালিক। কিন্তু তারপর! গাড়ি হাতছাড়া হয়ে গেলেও অ্যাকাউন্টে ঢুকত না কোনও টাকা। গাড়ি চুরির অভিনব প্রতারণা চক্রের হদিশ মিলল সোনারপুরে (Sonarpur)। কলকাতা ও শহরতলি এলাকায় গাড়ি চুরির একাধিক চক্র কাজ করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। নিজের গাড়ি বিক্রির জন্য যাঁরা অনলাইনে বিজ্ঞাপন দিতেন তাঁদেরকেই নাকি টার্গেট করতেন অভিযুক্তরা! তাঁদের গাড়ি হাতিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে বিশ্বাস অর্জনের জন্য ওই ব্যক্তির নামে ব্যাঙ্কের চেক বা ভুয়ো ডিমান্ড ড্রাফটও বানানো হত৷ আর সেটা দেখেই বিশ্বাস করে গাড়ি হস্তান্তরের সমস্ত কাগজে সই করে দিতেন বিক্রেতারা৷
পুলিশ জানতে পেরেছে, বেছে বেছে সপ্তাহের এমন একটি দিন ও সময়ে এই কাজ করা হত, যাতে দ্রুত ওই ব্যক্তি ব্যাঙ্কে যেতে না পারেন। আর সেই সময়ের মধ্যেই গাড়িটি বিক্রি করে দেওয়া হত অন্যজনকে। কেউ একজন নয়, এই প্রতারণা চালানোর জন্য নানা এলাকায় বহু মানুষকে কাজে লাগানো হত বলে অভিযোগ উঠেছে। আর যারা এই প্রতারণার সঙ্গে যুক্ত তারা কখনও সামনে আসত না।
এভাবে সম্প্রতি একাধিক গাড়ি চুরির ঘটনা ঘটেছে। একাধিক অভিযোগ দায়ের হয়েছে নরেন্দ্রপুর থানায়। সেই অভিযোগের তদন্তে নেমে ইতিমধ্যে দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, এরা দুজনেই নির্দিষ্ট অর্থের বিনিময়ে কাজ করেছেন৷
ধৃতদের নাম অভিষেক পাইক ও অমল বাল্মিকী৷ তাঁদের সঙ্গে আরও অনেকেই যুক্ত আছেন বলে পুলিশের অনুমান। বুধবার ধৃতদের বারুইপুর আদালতে পেশ করা হবে। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাবে পুলিশ৷ এই ঘটনার তদন্তে নেমে একটি গাড়ি ও একটি বাইক উদ্ধার করেছে পুলিশ৷ ৪২০ ও ৪০৬ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে৷