ক্যানিং: ভাঙড়ের পর ক্যানিং। সেই দক্ষিণ ২৪ পরগনাই পঞ্চায়েত হিংসায় ফের শিরোনামে। তবে এবার তৃণমূল বনাম তৃণমূল। জনৈক তৃণমূল ‘মাদার’ কর্মী সুনীল হালদারের দাবি, তৃণমূল ‘যুব’ তাদের আক্রমণ করেছে।
মনোনয়ন পেশের সময়সীমা শেষ হতে আর মাত্র একদিন বাকি। তার আগেই চরম সংঘর্ষের ছবি দেখা গেল দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। দিনে-দুপুরে পরপর বোমার আওয়াজ শোনা গেল ক্যানিং-এ। চলল গুলিও। বুধবার এই সংঘর্ষের মাঝেই আক্রান্ত হয়েছেন TV9 বাংলার চিত্র সাংবাদিক। মাথায় আঘাত পেয়েছেন তিনি। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদিকে, বুধবার সকালেই গুলিবিদ্ধ হয়েছেন এক তৃণমূল নেতা। আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি।
এদিন সকালে মনোনয়ন পেশের প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার আগেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ক্যানিং। অভিযোগ, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই এমন সংঘর্ষ। এদিন সকাল থেকে তৃণমূল নেতা শৈবাল লাহিড়ীর নেতৃত্বে একদল নেতা পথ অবরোধ করেন। গুলিবিদ্ধ নেতা সুনীল হালদার সেই শৈবাল লাহিড়ীর ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত। এরপরই চলে গুলি। ক্যানিং পশ্চিমের বিধায়ক পরেশরাম দাসের অনুগামীরা গুলি চালায় বলে অভিযোগ সুনীল হালদারের। গুলি লেগেছে তাঁর বাঁ পায়ে। আপাতত ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি। মনোনয়ন পেশের সময় যদি এভাবে গুলি-বোমা চলে, তাহলে ভোটের সময় কী হবে, তা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করছে সব মহল।
তবে গোষ্ঠীকোন্দলে কোনও অন্যায় নেই বলে মন্তব্য করেছেন রাজ্যের মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। তিনি বলেন, “যে কোনও দলেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব রয়েছে। বিজেপিতে টিকিট বিলি হওয়ার সময় মুরলীধর সেন লেনের অফিসে কী হয়েছিল, তা আমি নিজে দেখেছিলাম। সমর্থকেরা নিজেদের মধ্যে লাঠি-ইট ছোড়াছুড়ি করেছিল। সবাই টিকিট পেতে চায়। এর মধ্যে কোনও অন্যায় নেই।”
অন্যদিকে, এই ঘটনার নিন্দা করে বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু বলেন,
“আমাদের রাজ্যে ভোট এলেই শাসক দলের দৌরাত্ম্য এত বেশি হয় যে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার ওপর মানুষের শ্রদ্ধা-ভক্তি কমে যায়। সেই কাজটাই ধারাবাহিকভাবে করে চলেছে শাসক দল।”