ভাঙড়: ভাঙড় বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত বেশ কিছু এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। তার জেরেই গতকাল ভাঙড়ে ঢুকতে বাধা পেয়েছিলেন সেখানকার বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী। কিন্তু আজ আবার দেখা গেল ভাঙড়ে সভা করছে তৃণমূল। একুশে জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভা। প্রায় শতাধিক কর্মী-সমর্থকদের সমাবেশ। বক্তব্য রাখলেন ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লা। আর এই নিয়েই বেজায় চটেছে ভাঙড়ের আইএসএফ নেতৃত্ব। কেন একই যাত্রায় পৃথক ফল? নওশাদকে বাধা, কিন্তু শওকতের সভা… কেমন এমন হল? প্রশ্ন আইএসএফের। পুলিশ প্রশাসনের দ্বিচারিতার অভিযোগে সরব হয়েছে আইএসএফ।
উল্লেখ্য, ভাঙড় বিধানসভার অন্তর্গত তিনটি থানা রয়েছে। কাশীপুর থানা। ভাঙড় থানা। কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানা। গতকাল নওশাদকে যেখানে আটকানো হয়েছিল, সেটি কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানার অন্তর্গত। আর আজ তৃণমূলের একুশে জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভা হয়েছে ভাঙড় থানা এলাকায়। ভাঙড়ের অশান্তির পর কোন কোন থানা এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি হয়েছে, সেই বিষয়ে একটি ধোঁয়াশা থেকে গিয়েছে। আইএসএফ দাবি করছে, ভাঙড় ও কাশীপুর উভয় থানা এলাকাতেই ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। এদিকে, তৃণমূল শিবিরের আবার দাবি কেবল কাশীপুর থানা এলাকাতেই ১৪৪ ধারা রয়েছে। এই বিতর্কের মধ্যে প্রশাসনের থেকেও স্পষ্ট কোনও বার্তা পাওয়া যায়নি। আইএসএফ শিবিরের প্রশ্ন, যে কারণে গতকাল নওশাদকে আটকানো হল, আজ তাহলে শওকতরা সভা করলেন কীভাবে?
আইএসএফের জেলা পরিষদের সদস্য রাইনূর হক সরাসরি অভিযোগ তুলেছেন পুলিশ-প্রশাসনের দ্বিচারিতা নিয়ে। বিষয়টি নিয়ে যথাযথ জায়গায় অভিযোগ জানানো হবে বলেও হুঁশিয়ারি তাঁর। কড়া ভাষায় আক্রমণ শানিয়েছেন নওশাদ সিদ্দিকীও। তাঁর বক্তব্য, ‘আইন শুধুই বিরোধীদের জন্য ও সাধারণ মানুষের জন্য। আর শাসকের জন্য আইনের কোনও তোয়াক্কা নেই। ১৪৪ ধারার অজুহাতে আমাকে নিজের বিধানসভা এলাকায় ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। আর পরের দিনই ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক ভাঙড়ে শতাধিক লোক নিয়ে সভা করছেন।’ এক্ষেত্রে কি ১৪৪ ধারা লঙ্ঘন হচ্ছে না? প্রশ্ন নওশাদের।
যদিও ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লার বক্তব্য, ‘নওশাদ ভাঙড়ের বিধায়ক হলেও, সেখানকার ভৌগোলিক বৈচিত্র জানেন না। ভাঙড়ে তিনটি থানা আছে। কাশীপুর থানা এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি হয়েছে। আর যেখানে সভা হয়েছে, সেটি ভাঙড় থানার অন্তর্গত।’