জয়নগর: সুজন চক্রবর্তী, কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়দের নেতৃত্বে সিপিএমের প্রতিনিধি দলকে দলুয়াখাকি গ্রামে ঢুকতে বাধা দিয়েছে পুলিশ। দফায় দফায় বচসা, ধস্তাধস্তি, ধাক্কাধাক্কি শেষে সিপিএম নেতারা পৌঁছে যান জয়নগর থানায়। সেখানেও চূড়ান্ত নাটকীয় দৃশ্য। ত্রাণ সামগ্রী দলুয়াখাকি গ্রামে পৌঁছে দিতে না পারায়, থানা চত্বরেই পুলিশকর্মীদের সঙ্গে একপ্রস্থ বচসায় জড়িয়ে পড়েন তাঁরা। ত্রাণ সামগ্রী রেখে দেওয়া হল থানা চত্বরেই।
সিপিএম প্রতিনিধি দলের একাংশ পুলিশের উদ্দেশে বলতে থাকে, যেহেতু ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে গ্রামে ঢুকতে দেয়নি পুলিশ, তাই পুলিশকেই সেগুলি পৌঁছে দিতে হবে। যদিও পরে সুজন চক্রবর্তী বিষয়টি মিটমাট করেন। পুলিশকে আশ্বস্ত করেন, ত্রাণ সামগ্রী বণ্টনের ব্যবস্থা তাঁরাই করে দেবেন। উল্লেখ্য, তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যের দুষ্কৃতীদের গুলিতে মৃত্যুর পর দলুয়াখাকি গ্রামের একাধিক বাড়িতে হামলা চলেছিল। অভিযোগ, বেছে বেছে বিরোধীদের বাড়িকে টার্গেট করা হয়েছে, অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। মঙ্গলবার সেই ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির মহিলাদের সঙ্গে দেখা করেন সিপিএম নেতারা। এরপর মহিলাদের নিয়ে গ্রামে ঢুকতে যেতেই বাধা দেয় পুলিশ।
এরপর তুমুল বাকবিতণ্ডা পর্বের শেষে থানায় পৌঁছে যান সুজন চক্রবর্তীরা। সঙ্গে ছিলেন গ্রামবাসী সাধারণ মহিলারাও। লাল ঝান্ডা হাতে থানা চত্বর বসে থাকতে দেখা গিয়েছে মহিলাদের। দলুয়াখাকি গ্রামের বাসিন্দা ফিরোজা বিবির পা তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা ভেঙে দিয়েছে বলে অভিযোগ। মঙ্গলবার সন্ধেয় পায়ে ব্যান্ডেজ বাঁধা অবস্থায় জয়নগর থানায় লিখিত অভিযোগ জানাতে পৌঁছে গিয়েছেন তিনিও।
আজ সন্ধেয় জয়নগর থানা চত্বরে সুজন চক্রবর্তী বলেন, “সারা রাত এই মানুষগুলি খোলা আকাশের তলায়। এদের ত্রাণের ব্যবস্থা করতে হবে। এই দায়িত্ব কার? এদের তো নাগরিক অধিকার রয়েছে। প্রশাসন কিছু করছে না, আমরা করতে চাইছি… সেটাও ওদের পছন্দ নয়। এত অপছন্দ নিয়ে চলা যাবে না।”