দক্ষিণ ২৪ পরগণা: প্রতিদিনের মতোই স্নান করতে গঙ্গার ঘাটে (Ganga ghat) স্নানে গিয়েছেন কেউকেউ। অনেকে আবার এমনই গিয়েছেন ঘুরতে। কেউ কেউ আবার ঘাটের পাশ দিয়েই যাতায়াত করছিলেন। তার মধ্যেই আচমকা নদীর জলে ভেসে উঠল একটি দেহ। ঘটনায় রীতিমত ভীত এলাকাবাসী।
ঘটনাস্থান দক্ষিণ ২৪ পরগনার রবীন্দ্রনগর থানার আকড়া ফটক। সেখানেই গঙ্গা নদীর পাড়ে একটি দেহকে ভেসে আসতে দেখে এলাকাবাসী। ওই মৃতদেহ দেখে এলাকাবাসী অনুমান এটি কোনও পুরুষের দেহ। তার শরীরে জলপাই রঙের পোশাক রয়েছে । পরে আর দেরী না করে চটজলদি স্থানীয় হাসপাতালে খবর দেয় তাঁরা।
ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যে রবীন্দ্র নগর থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে উদ্ধার করে ওই মরদেহটিকে। প্রথমে গার্ডেনরিচ স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এদিকে, দেহটিতে অত্যাধিক পচন ধরার কারণে সেটিকে আবার বিদ্যাসাগর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। তবে এখনও পরিচয় জানা যায়নি। পোশাক দেখে সন্দেহ করা হচ্ছে তিনি প্রশাসনিক কোন কাজের সঙ্গে যুক্ত।
প্রসঙ্গত, চলতি মাসের গত ২ তারিখ দুই শিশু সহ এক মায়ের দেহ উদ্ধার হয়েছে। তবে জানতে পারা যায়নি খুন নাকি আত্মহত্যা করেছে তারা। পাশাপাশি প্রশ্ন উঠছে আত্মহত্যাও হয়ে থাকে তবে ওই শিশুদের ক্ষেত্রে কী হল? তাদের কি কেউ খুন করছে? নাকি অন্য কোনও কারণ লুকিয়ে রয়েছে এই মৃত্যুর পিছনে। যদিও ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলার রাজগঞ্জ ব্লকের সুখানি গ্রামপঞ্চায়েত এলাকার জিতু পাড়ায় একটি পুকুর রয়েছে। সেই পুকুরের পাশ থেকেই মা সহ দুই শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার করে রাজগঞ্জ থানার পুলিশ (Rajgunj police Station)।
স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে, মৃত মায়ের নাম তারিমা খাতুন (২২), এক সন্তান আনিশা খাতুন (৪)মেয়ে, এবং অপর এক সন্তান নাহিদ মহঃ (১) । বছর ছয়েক আগে স্থানীয় বাসিন্দা বছর তেইশের বদ্দিন মহম্মদের সঙ্গে বিয়ে হয় তারিমার।
তবে কেন এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে তা জানতে ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ে তদন্তের পাশাপাশি রাজগঞ্জ থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। দেহ উদ্ধারের পর রাতেই জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে (Jalpaiguri Hospital) দেহ পাঠিয়েছে রাজগঞ্জ থানার পুলিশ (Rajgunj Police STation)। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান এটি একটি আত্মহত্যার ঘটনা।
আরও পড়ুন: Civic Volunteer: প্রাণ বাজি রেখে ডাকাতি রুখলেন দুই সিভিক ভলান্টিয়ার