বালুরঘাট: আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে সাধারণ মানুষের অভাব অভিযোগ শুনতে গ্রামে গ্রামে যাচ্ছেন দিদির দূত অর্থাৎ তৃণমূল নেতা কর্মীরা। বুধবার দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট ব্লকের বোয়ালদার গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে ঘুরলেন দিদির দূতরা৷ মূলত সাধারণ মানুষরা রাজ্য সরকারের কী কী প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছেন তার খোঁজ খবর নেন। এদিনের দিদির দূত কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বালুরঘাটের প্রাক্তন সাংসদ তথা রাজ্য তৃণমূল নেত্রী অর্পিতা ঘোষ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি মৃণাল সরকার, মহিলা তৃণমূলের জেলা সভানেত্রী প্রদীপ্তা চক্রবর্তী, বালুরঘাট ব্লক তৃণমূল সভাপতি স্বপন বর্মণ সহ অন্যান্য তৃণমূল নেতারা। গ্রামের মানুষের অভাব অভিযোগ শোনার পাশাপাশি দলীয় কর্মীর বাড়িতে দুপুরের খাবার খান তৃণমূল নেতৃত্বরা।
এদিকে গ্রামের সাধারণ মানুষের অভাব অভিযোগ শুনতে গিয়ে বেশিরভাগ মানুষেরই অভিযোগ, তারা সরকারি আবাস যোজনার ঘর পাননি। লিস্টে নাম থাকলেও তা কাঁটা পড়েছে। অজানা কারণে নাম বাদ গেছে বলেই অভিযোগ গ্রামবাসীদের। কেন ঘর পেলেন না তা নিয়েও ক্ষোভ উগরে দেন তৃণমূল নেতৃত্বের সামনে। কোনও রকমে দিন যাপন করেন। অথচ ঘর পাননি। এদিকে ঘর না পাওয়ার বিষয়টি জানতে পেরে তাদের নাম এবং বাড়ির ছবি তুলে রাখেন তৃণমূল নেত্রী অর্পিতা ঘোষ।
এ দিকে রাজুয়া এলাকার দুই প্রবীণ নাগরিক নীরেন বর্মণ ও তুলশি বর্মণের অভিযোগ, তারা কেউ ঘর পাননি। তাদের মাথা গোঁজার মত কোন জায়গা নেই। অথচ তারাই ঘর পাননি। তারা কি পাওয়া যোগ্য নয় তাহলে, তোলেন প্রশ্ন।
এদিকে লিস্ট থেকে নাম কেন বাদ তা নিয়ে জেলা শাসকের সঙ্গে বসবেন বলেই অর্পিতা ঘোষ জানিয়েছেন৷ পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, “যদি কারো দু’তালা পাকা বাড়ি থাকার পর ঘর পায় সে নিয়ে যদি মামলা হয় তাহলে এনিয়ে কেন মামলা দায়ের হবে না। ঘর না থেকেও ঘর পাননি যোগ্যরা এনিয়ে অভিযোগ দায়ের করবেন বলে সাফ জানিয়েছে তৃণমূল নেত্রী অর্পিতা ঘোষ।” প্রতিটি এলাকাতেই রাজ্য সরকারের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা পেলেও বেশির ভাগ সাধারণ মানুষ ঘর পাননি। এই অভিযোগই করছেন তাদের কাছে। আর রাস্তা ঘাট নিয়ে যা সমস্যা ছিল তা সমাধানের জন্য প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন।