দক্ষিণ ২৪ পরগনা: চোর সন্দেহে এক যুবককে থানায় নিয়ে গিয়ে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি ঢোলাহাটে। ঝাঁটা চটি হাতে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ মহিলাদের। ব্যারিকেড ভেঙে থানার দিকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা স্থানীয় বাসিন্দারা। বাধা দেওয়ায় পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক ধস্তাধস্তি হচ্ছে এলাকাবাসীর।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৩০ তারিখ ঢোলাহাটের ঘাটমুকুলতলা এলাকায় একটি চুরির ঘটনা ঘটে। সে সময়ে এক যুবককে আটক করে থানায় নিয়ে যায় ঢোলাহাট থানার পুলিশ। পরে তিনি জামিনে মুক্ত পান। কিন্তু পরিবারের সদস্যরা জানাচ্ছেন, বাড়ি ফেরার পরেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে প্রথমে মথুরাপুর ব্লক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজ, তারপর সেখান থেকে চিত্তরঞ্জন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। কিন্তু সেখানেও চিকিৎসকরা সাড়া না দেওয়ায়, তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় পার্কসার্কাসের বেসরকারি হাসপাতালে। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। সোমবার রাতে মৃত্যু হয় সেখানে।
পরিবারের অভিযোগ, চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ওই যুবকের শরীরের একাধিক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। লক আপে পুলিশের বিরুদ্ধে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ তুলছে পরিবার। অভিযোগ, এক সাব ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার অফিসার-সহ চার পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে। সুন্দরবনের পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে ইতিমধ্যেই। পরিবারের দাবি, অভিযুক্ত পুলিশ কর্মীদের বিরুদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপ করতে হবে। তারই দাবি, ঢোলাহাট থানার সামনে ক্ষোভে ফেটে পড়েন কয়েকশো গ্রামবাসী। চটি হাতে পুলিশ কর্মীদের শাসাতে দেখা যায় তাঁদের। বিক্ষোভের মধ্যে থেকে ক্ষুব্ধ মহিলাদের বলতে শোনা যায়. ‘শেষ করেই দেবো তোদের, শেষ দেখে নেবো…’ ঢোলাহাট থানায় এই মুহূর্তে উপস্থিত এসডিপিও।