ক্যানিং: স্কুলের সামনে দিয়ে একাই যাচ্ছিল পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীটি। আশপাশে কিছুটা দূরে বন্ধুরাও ছিল। স্কুলের বাইরে কয়েকজন অভিভাবকও ছিলেন। তার মধ্যেই ওই ছাত্রীর সামনে এসে দাঁড়ায় এক বাইক। চালকের মাথায় হেলমেট। অভিযোগ, আচমকাই ছাত্রীকে হাত ধরে বাইকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন সেই যুবক। বেগতিক বুঝে ছুটে আসেন স্থানীয় দোকানি ও বাক অভিভাবকরা। স্কুলের সামনে থেকে এক নাবালিকাকে অপহরণের চেষ্টার অভিযোগে ওই যুবককে পাকড়াও করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ওই যুবককে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে। পরে ওই যুবককে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে ক্যানিংয়ের দীঘিরপাড় গ্রাম পঞ্চায়েতের কাঠপোল এলাকায়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পঞ্চম শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রীকে রাস্তা থেকে বাইকে করে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল সন্দেহভাজন এক যুবক। বিষয়টি সন্দেহ হওয়ায় স্থানীয় যুবকরা অভিযুক্তকে ধরে ফেলেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, জিজ্ঞাসাবাদ করতেই কথায় অসঙ্গতি ধরা পড়ে অপরিচিত ওই যুবকের। এরপরেই অভিযুক্তকে গণপিটুনি দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। মারাত্মক আহত হন ওই যুবক।
পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ক্যানিং থানার পুলিশ। অভিযুক্ত যুবকের বাড়ি নামখানা ব্লকের মন্মথনগর গ্রামে।নাম তাপস মাপা।ক্যানিংয়ের দ্বারিকানাথ বালিকা বিদ্যালয়ের ঐ ছাত্রী স্কুল শেষে বাড়ি ফিরছিল একা একা।ফাঁকা রাস্তায় তাকে একা পেয়ে অভিযুক্ত ঐ ছাত্রীকে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে।তখন বিষয়টি স্থানীয়দের চোখে পড়ে। তাঁরা কারণ জিজ্ঞাসা করলে সঠিক উত্তর দিতে পারেনি অভিযুক্ত। সেই কারণে স্থানীয় বাসিন্দারা বেধড়ক মারধর করেন অভিযুক্তকে।
খবর পেয়ে ক্যানিং থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে উত্তেজিত জনতার হাত থেকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।যদিও অভিযুক্ত যুবকের দাবি, তিনি চোর নন। তাঁর বক্তব্য, ওই ছাত্রীই নাকি তাঁর কাছে সাহায্য চেয়েছিলেন। বাইকে কিছুটা এগিয়ে দিতে বলেছিল বলে দাবি ওই যুবকের। সেটা করতে গিয়েই তিনি আক্রান্ত হয়েছেন। ক্যানিং থানার পুলিশ তাপসকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। ধৃতকে মঙ্গলবার আলিপুর আদালতে পেশ করা হবে। এই ঘটনায় সোমবার রাতেই ক্যানিং থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ওই নাবালিকার বাবা।