Diamond harbour police: ভুলভাল টাইপ করে আসছে মেসেজ, আর তারপরই গায়েব হচ্ছে লক্ষ-লক্ষ টাকা
তারপর হরিয়ানা এবং রাজস্থানে গিয়ে চক্রের মূল পান্ডা আকিল ও আরিফ নামে দু'জনকে গ্রেফতার করে। ধৃত আকিল হরিয়ানার ফিরোজপুরের বাসিন্দা। ধৃত আরিফ রাজস্থানের আলোওয়ার এলাকার বাসিন্দা।

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: রাজস্থান ও হরিয়ানা থেকে সাইবার প্রতারণার জন্য টার্গেট করা হচ্ছে এ রাজ্যের বাসিন্দাদের। আর তাতেই পা দিয়ে প্রতারণার শিকার হচ্ছেন অনেকেই। ফলে সাইবার প্রতারণা রুখতে সচেষ্ট হল ডায়মন্ড হারবার পুলিশ। সম্প্রতি, ডায়মন্ড হারবার পুলিশের দল ঘটনার তদন্ত নামে। তারপর হরিয়ানা এবং রাজস্থানে গিয়ে চক্রের মূল পান্ডা আকিল ও আরিফ নামে দু’জনকে গ্রেফতার করে। ধৃত আকিল হরিয়ানার ফিরোজপুরের বাসিন্দা। ধৃত আরিফ রাজস্থানের আলোওয়ার এলাকার বাসিন্দা। ধৃতদের ট্রানজিট রিমান্ডে ডায়মন্ড হারবারে নিয়ে আসা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, রাজস্থানের ভরতপুর ও আলোয়ার জেলা এবং হরিয়ানার ফিরোজপুর ও জিকরা এই জেলাগুলি থেকে এমন ঘটনা ঘটানো হচ্ছে। সোশাল মিডিয়ায় এই সমস্ত ঘটনা থেকে সকলকে সচেতন হয়ে থাকতে হবে জানানো হয়েছে ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলার পক্ষ থেকে। ধৃতদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে এই চক্রের বাকি পান্ডাদের গ্রেফতার করতে চাইছে পুলিশ।
কীভাবে চলে এই চক্রের কাজ?
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ভিন রাজ্য থেকে এই রাজ্যের উচ্চপদস্থ সরকারি আধিকারিক অথবা বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নামে ভুয়ো সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইল তৈরি করা হয়। তারপর তার নাম ব্যবহার করে চলে টাকা চাওয়ার কাজ। অনেকেই সেই ব্যক্তি ভেবে ভুল করে টাকা দিয়ে ফেলেন। সম্প্রতি ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিতুন দে-র নামে ভুয়ো ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খোলা হয়। কিছু প্রোফাইল বন্ধও করা হয়। তদন্তে ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলার এসওজি ও সাইবার ক্রাইম থানার নিরলস প্রচেষ্টায় দুর্বৃত্তদের ধরা সম্ভব হয়।
ডায়মন্ড পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিতুন দে জানিয়েছেন, “এসব ক্ষেত্রে ওই ব্যক্তিরা ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলে মানুষজনের কাছে টাকা চায়। এই টাকা চাওয়ার ম্যাসেজগুলির মধ্যে একটি প্যাটার্ন লক্ষ্য করা গিয়েছে। এটা খুবই অপ্রত্যাশিত একটি বিষয়। ম্যাসেজের বানানগুলিও ভুল লেখা হয়। এটি শুধুমাত্র তাঁর ক্ষেত্রে হয়েছে এমন নয়, অনেকের সঙ্গেই হতে পারে। এক্ষেত্রে একদম সঠিক না হয়ে কাউকে টাকা না পাঠাতে অনুরোধ করছি।”
