ডায়মন্ড হারবার: জীবিত ব্যক্তিতে মৃত ঘোষণা করায় বন্ধ হয়ে গেল বার্ধক্যভাতা। গত ২ বছর ভাতা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আতান্তরে বৃদ্ধ দম্পতি। টাকার অভাবে বন্ধ চিকিৎসা। দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলপি ব্লকের ঢোলাহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের তেলে গ্রামের বাসিন্দা ৭৯ বছরের বিজয় হাতি। বৃদ্ধা স্ত্রী ও এক অসুস্থ ছেলেকে নিয়ে টানাটানির সংসার হাতি পরিবারের। তিনি দীর্ঘ দশ বছর ধরে বার্ধক্য ভাতা পেতেন। কিন্তু গত দু’বছর আগে হঠাৎ করে বন্ধ হয়ে যায় তাঁর ভাতা। এরপর তিনি পঞ্চায়েত ও বিডিও অফিসে খোঁজখবর শুরু করেন। জানতে পারেন, সরকারি নথিতে তাঁকে মৃত দেখানো হয়েছে। যারফলে বন্ধ হয়ে গিয়েছে বার্ধক্যভাতা। পুনরায় ভাতা চালুর আবেদন নিয়ে পঞ্চায়েত, বিডিও, জেলাশাসকের দারস্থ হয়েছেন। কিন্তু কোনমতে ভাতা পুনরায় চালু হয়নি। অন্যদিকে ভাতার টাকাতে চলত হাতি দম্পতির চিকিৎসা।
ভাতা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চিকিৎসাও করাতে পারছেন না। গ্রামের পঞ্চায়েত সদস্য চিত্তরঞ্জন হালদার এই ঘটনায় ভুল স্বীকার করে নিয়েছেন। তিনি পঞ্চায়েত কর্মীর ওপর দায় চাপিয়েছেন। অন্যদিকে ঢোলা পঞ্চায়েতের প্রধান রুবিয়া বিবি কয়ালের স্বামী স্থানীয় তৃণমূল নেতা হোসেন কয়াল ভাতা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পঞ্চায়েত সদস্য ও কর্মীদের ওপর দায় চাপিয়েছেন।
“অঞ্চলে গিয়েছিলাম, বিডিও কে জানাই। কিন্তু বিডিও জানালেন, আমি মৃত বলে নাম কেটে দিয়েছি। জয়েন্ট বিডিও, ডিএমকেও বললাম।” বৃদ্ধের অভিযোগ, “আমি আসলে অন্য দল করি, বামপন্থী করি। তাই হয়তো নাম কেটে দিয়েছে।”
কুলপির বিডিও সৌরভ গুপ্ত বলেন, “পঞ্চায়েত থেকে ওই নাম বাদ দেওয়া হয়েছিল। পুনরায় ভাতা চালুর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। পঞ্চায়েত দফতরের কাছে নথি পাঠানো আছে।” কিন্তু এসবের যাতাকলে সমস্যায় পড়েছেন বৃদ্ধ দম্পতি।