Gangasagar: গঙ্গাসাগরে ভয়াবহ ভাঙন, কপিলমুনির আশ্রমের অদূরে ভাঙছে তট

Shuvendu Halder | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Jul 21, 2024 | 4:47 PM

Gangasagar: রাত থেকেই প্রবল জলোচ্ছ্বাস। দফায় দফায় বৃষ্টি আর ঝোড়ো হাওয়ায় উথাল পাতাল সাগরের বুক। আর প্রকৃতির রুদ্ররূপে কপাল শুধু সাগরের পাড়ই ভাঙছে না, কপাল পুড়ছে এখানকার মানুষেরও। বহু অস্থায়ী দোকান ভেঙে পড়েছে। উড়েছে দোকানের চাল, জিনিসপত্র উড়ে গিয়েছে জলে। ছাদের টিন মাথায় তুলে নিয়ে চলেছেন দোকানিরা।

Gangasagar: গঙ্গাসাগরে ভয়াবহ ভাঙন, কপিলমুনির আশ্রমের অদূরে ভাঙছে তট
এমন ছবি দেখা গিয়েছে আজ সকালে।
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: একদিকে পূর্ণিমার ভরা কোটাল, অন্যদিকে নিম্নচাপ। আবার বর্ষার মরসুমও। ত্রিফলায় বিদ্ধ উপকূলের জনজীবন। ভয়াবহ ধসের মুখে গঙ্গাসাগরের কপিলমুনি মন্দিরের সমুদ্রতট। রবিবার সকালে জলোচ্ছ্বাসের জেরে সাগরতটের ১ নম্বর থেকে ৫ নম্বর স্নানঘাট পর্যন্ত পূর্ত দফতরের তৈরি কংক্রিটের রাস্তা একেবারে ভেঙে গিয়েছে। ধসে সমুদ্রে তলিয়ে গিয়েছে তা। সাগর ব্লক প্রশাসন তটে মাইকিং চালাচ্ছে সকাল থেকে। ৬ নম্বর ঘাটে স্নান করতে যেতে বলছে তারা।

রাত থেকেই প্রবল জলোচ্ছ্বাস। দফায় দফায় বৃষ্টি আর ঝোড়ো হাওয়ায় উথাল পাতাল সাগরের বুক। আর প্রকৃতির রুদ্ররূপে কপাল শুধু সাগরের পাড়ই ভাঙছে না, কপাল পুড়ছে এখানকার মানুষেরও। বহু অস্থায়ী দোকান ভেঙে পড়েছে। উড়েছে দোকানের চাল, জিনিসপত্র উড়ে গিয়েছে জলে। ছাদের টিন মাথায় তুলে নিয়ে চলেছেন দোকানিরা।

সকাল থেকে দ্রুত গতিতে সাগরতট ভাঙা শুরু হয়েছে। সমুদ্রতটে থাকা বিদ্যুতের খুঁটি, গাছ, অস্থায়ী দোকান তলিয়ে গিয়েছে। দোকানদারদের দ্রুত সরিয়ে দিচ্ছে পুলিশ। আতঙ্কিত সাগরের ব্যবসায়ী থেকে পুণ্যার্থীরা। ইতিমধ্যে সাগর ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১ থেকে ৫ নম্বর স্নানঘাট পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কোনও পুণ্যার্থীকেও নামতে দেওয়া হচ্ছে না।

এদিকে এই ভাঙন নিয়ে ক্ষুব্ধ ক্ষতিগ্রস্তরা। তাঁরা বলছেন, সরকারি অবহেলায় এই ভাঙন রোখা যাচ্ছে না। স্থানীয় বাসিন্দা কল্পনা পড়্যা ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন, “আমাদের আর কে দেখবে। প্রতি বছর যে এভাবে ভাঙছে কোনও পরিকল্পনা নেই। শুধু বলে আমাদের ভোট দাও। ২ নম্বর রাস্তা ভেসে গিয়েছে। আমরা যে কিছু চাইব আমাদের আছেটা কী? দেখার মতো ক্ষমতা নেই যাদের তাদের কাছে আর কী চাইব?”

স্থানীয় পঞ্চায়েতের উপপ্রধান তথা তৃণমূল নেতা হরিপদ মণ্ডল মানছেন এভাবে সাগরের তট ভাঙতে থাকলে বড় বিপদ আসবে। তিনি বলেন, “মাস্টার প্ল্যান ছাড়া আর কোনও উপায় নেই। দিঘার মতো করে সরকারকে এটাও আটকাতে হবে। এভাবে চললে তো কপিল ভগবানের যে কাহিনী তা প্রায় অবলুপ্তির পথে চলে যাচ্ছে।” এরপরই হরিপদর সংযোজন, “রাজ্য চেষ্টা করছে। কিন্তু প্রচুর অর্থের দরকার। রাজ্যের পক্ষে তো তা সম্ভব না।”

Next Article