Arabul Islam: ‘আরাবুল দা-র জন্য ঠাকুরের কাছে মানত করেছি’, জেলে থাকা নেতার জন্য রাস্তায় গড়াগড়ি অনুগামী

Satyajit Mondal | Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Mar 20, 2024 | 11:29 AM

Arabul Islam: কর্মী সমর্থকদের মধ্যে উচ্ছ্বাস-উৎসাহ উদ্দীপনা সেই আগের মতো আর দেখা যাচ্ছে না। একদা তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি বলে পরিচিত ভাঙড় পুনরুদ্ধার করতে মরিয়া ঘাসফুল। কিন্তু 'আরাবুল দা'-কে ছাড়া কতটা সম্ভব? প্রশ্ন তুলছেন তৃণমূলের একাংশ।

Arabul Islam: আরাবুল দা-র জন্য ঠাকুরের কাছে মানত করেছি, জেলে থাকা নেতার জন্য রাস্তায় গড়াগড়ি অনুগামী
রাস্তায় গড়াগড়ি দিচ্ছেন আরাবুলের অনুগামী
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

ভাঙড়: লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। রাজ্যের সব প্রান্তেই প্রায় সাজো সাজো রব। কিন্তু রাজ্য রাজনীতির আলোচনার শীর্ষে থাকা ভাঙড়ের একাংশে কাজে উৎসাহ পাচ্ছেন না তৃণমূল কর্মীরা। কারণ জেলে বন্দি রয়েছেন আরাবুল ইসলাম। ভোটের সময় বরাবরই অগ্রণী ভূমিকা নেন আরাবুল। তিনি এবার ভোটের ময়দানে নেই। বারুইপুর জেল থেকে আপাতত বেরনোর কোনও আশাও নেই তাঁর, এমনটাই মনে করছে আইনজীবী মহল। তাই এবার ঠাকুরের কাছে মানত করতে শুরু করতে শুরু করেছেন। রাস্তায় গড়াগড়ি দিচ্ছেন তাঁরা। মঙ্গলবারই দেখা গেল সেই ছবি।

শাসক থেকে বিরোধী প্রায় সব পক্ষের প্রার্থীরা জোরদার প্রচার শুরু করে দিয়েছেন। যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে অত‍্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই ভাঙড় বিধানসভা অঞ্চল। গত বিধানসভা নির্বাচনে এই ভাঙড় বিধানসভা কেন্দ্রে জয়ী হয় আইএসএফ। সুতরাং একদা তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি বলে পরিচিত ভাঙড় পুনরুদ্ধার করতে মরিয়া ঘাসফুল। কিন্তু ‘আরাবুল দা’-কে ছাড়া কতটা সম্ভব? প্রশ্ন তুলছেন তৃণমূলের একাংশ।

লোকসভা ভোটের আগেই আইএসএফ কর্মী খুনের ঘটনায় গত ৮ ফেব্রুয়ারি গ্রেফতার হন ভাঙড় ২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তথা প্রাক্তন বিধায়ক আরাবুল ইসলাম। একের পর এক মামলায় কখনও পুলিশ হেফাজতে, আবার কখনও জেল হেফাজতে রাখা হচ্ছে তাঁদের। তাতেই সাধারণ কর্মী সমর্থকেরা কার্যত মুষড়ে পড়েছেন।

আরাবুল ইসলামের মুক্তির দাবিতে সোশ্যাল মিডিয়াতেও সরব হয়েছেন বহু তৃণমূল কর্মী। কেউ লিখছেন, “আরাবুল ইসলাম নির্দোষ। তাঁকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়া হোক।” আবার কেউ লিখেছেন, “আরাবুল ইসলামকে মিথ্যা কেসে জেলে ভরা হয়েছে। তাঁকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়া হোক।” নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরও এক আরাবুল অনুগামী তৃণমূল কর্মী বলেন, “এ সব হচ্ছে চক্রান্ত, আরাবুল দাকে রাজনৈতিক ময়দান থেকে সরিয়ে দিতে চক্রান্ত চলছে।”

মঙ্গলবার দেখা যায় তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য দিলীপ পাত্র ধুলোয় গড়াগড়ি খেয়ে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। তিনি বলেন, “দাদা-কে মিথ্যা কেসে ফাঁসানো হয়েছে। দাদার মুক্তির জন্য ঠাকুরের কাছে মানত করেছি। কোর্ট চত্বরে ধুলোয় গড়াগড়ি খেয়েছি।” অনেকেই বলছেন, কর্মী সমর্থকদের মধ্যে উচ্ছ্বাস-উৎসাহ উদ্দীপনা সেই আগের মতো আর দেখা যাচ্ছে না।

এই প্রসঙ্গে তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লা বলেন, ‘এটা ওদের নিজেদের ব্যাপার, করতেই পারে। দলের অনুগত সৈনিক হিসেবে প্রতিবাদ করতেই পারে।’ তবে আরাবুলের বিরুদ্ধে যে মামলা হয়েছে, সে বিষয়ে মুখ খুলতে চাননি শওকত। তিনি বলেন, ‘এটা বিচারাধীন বিষয়।’

Next Article