Gangasagar: তলিয়ে যেতে পারে কপিলমুনির আশ্রম, আগেভাগেই ময়দানে নেমে পড়ল সরকার
Gangasagar: গঙ্গাসাগরের পাশাপাশি গোটা সুন্দরবনকে ভয়াবহ ভাঙন থেকে রুখতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিচ্ছে রাজ্য সরকার। এজন্য বিশেষজ্ঞ প্রযুক্তিবিদদেরও সাহায্য নেওয়া হবে। শনিবার সাগরমেলার প্রস্তুতি বৈঠ শেষে একথা জানিয়েছেন সেচ মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া।
গঙ্গাসাগর: গঙ্গার ভাঙন বিগত কয়েক বছর ধরেই মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। শুধু জেলা নয়, কলকাতাতেও গঙ্গার ভাঙন হচ্ছে। তবে গঙ্গাসাগরের ভয়াবহ ভাঙন রুখতে রাজ্য সরকার আইআইটি (IIT) মাদ্রাজ ও নেদারল্যান্ডের প্রযুক্তিগত সহায়তা নেবে। আসন্ন সাগরমেলার জন্য স্বল্পমেয়াদি পরিকল্পনার পাশাপাশি দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা নেওয়া হবে। এজন্য সহায়তা করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে বিশ্বব্যাঙ্ক।
গঙ্গাসাগরের পাশাপাশি গোটা সুন্দরবনকে ভয়াবহ ভাঙন থেকে রুখতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিচ্ছে রাজ্য সরকার। এজন্য বিশেষজ্ঞ প্রযুক্তিবিদদেরও সাহায্য নেওয়া হবে। শনিবার সাগরমেলার প্রস্তুতি বৈঠ শেষে একথা জানিয়েছেন সেচ মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া। এদিন আসন্ন সাগরমেলা নিয়ে সেচ বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেন মন্ত্রী। উপস্থিত ছিলেন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা, দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা সভাধিপতি নীলিমা বিশাল মিস্ত্রী, গঙ্গাসাগর-বকখালি উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান তথা জেলা সহ সভাধিপতি শ্রীমন্ত মালি সহ একাধিক বিধায়ক ও প্রশাসনিক আধিকারিকরা।
এদিনের বৈঠকে ভাঙন রোধে সেচ দপ্তরের আধিকারিকদের ঢিলেঢালা মনোভাবে উষ্মা প্রকাশ করয়েছেন সেচ মন্ত্রী। কেন এতদিন বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া হয়নি সেই প্রশ্নও তোলেন মন্ত্রী। অন্যদিকে ভাঙন কপিলমুনি আশ্রমের আরও কাছে চলে আসায় আতঙ্কিত স্থানীয় ব্যবসায়ী থেকে কপিলমুনি আশ্রমের সেবাইত। এভাবে ভাঙন চললে আগামী দু’বছরের মধ্যে কপিলমুনি আশ্রম সমুদ্রগর্ভে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন সকলে। স্থানীয় ব্যবসায়ী বলেন, “আমাদের তো আতঙ্ক লাগছেই। যে ভাবে গঙ্গা এগিয়ে আসছে ক্রমাগত তাতে ভবিষ্যতে কী হবে তা নিয়ে চিন্তায়।”