দক্ষিণ ২৪ পরগনা: পূর্নিমার কোটাল ও নিম্নচাপের জেরে সমুদ্রের উত্তাল ঢেউয়ের দাপটে উল্টে গেল তিনটি ট্রলার। বিকাল নাগাদ সাগরের বেগুয়াখালিতে উত্তাল ঢেউয়ের জেরে উল্টে যায় দুটি ট্রলার। দুর্ঘটনার জেরে আহত দুই মৎস্যজীবী গুরুতর জখম হয়েছেন। দু’জনকে সাগর ব্লক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। উদ্ধার হয়েছে দুটি ট্রলারের আরও ৮ মৎস্যজীবী।
অন্যদিকে জম্বুদ্বীপের কাছে ইলিশ ধরার সময় উত্তাল ঢেউয়ের জেরে উল্টে যায় ট্রলার এফবি বাব মলেশ্বর। দুর্ঘটনার পর বাকি মৎস্যজীবীরা সাগর থেকে ১৯ জন মৎস্যজীবীকে উদ্ধার করেন। তবে ট্রলারটির কোনও খোঁজ নেই।
উল্লেখ্য, দুর্যোগের কথা মাথায় রেখে আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফ থেকে আগেই মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছিল। কিন্তু প্রশাসনকে লুকিয়েই কাকদ্বীপ বন্দর থেকে রওনা দিয়েছিল ট্রলারটি। সোমবার পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছিল। সেই নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে কী করে মৎস্যজীবীরা গেলেন তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।
প্রসঙ্গত, পূর্ণিমার কোটালে জলোচ্ছ্বাসের জেরে সাগরতটের ১ নম্বর থেকে ৫ নম্বর স্নানঘাট পর্যন্ত পূর্ত দফতরের তৈরি কংক্রিটের রাস্তা পুরোপুরি ধস নিয়ে সমুদ্রে তলিয়ে গিয়েছে। সকাল থেকে দ্রুত ভেঙেছে সাগরতট। সমুদ্রতটে থাকা বিদ্যুতের খুঁটি, গাছ, অস্থায়ী দোকান তলিয়ে গিয়েছে। দোকানদারদের দ্রুত সরিয়ে দিচ্ছে পুলিশ।