Gosaba: থানার ভিতরেই মল-মূত্র ত্যাগ! ভাবতেও পারবেন না সন্দেশখালি আবহে এত কিছুর পরেও কেন গোসাবার ‘বড়বাবু’ শিরোনামে

Satyajit Mondal | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Mar 06, 2024 | 2:36 PM

Gosaba: ডাক্তার এসেছিলেন? জীবনটা ঝালাপালা হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু কী হয়েছে? প্রশ্নটা করা হয়েছিল ওই লক্ষ্মীদিকে।   উত্তরে বললেন,  "একে তো বড়বাবুর সংসারের সব কাজ, তার উপও ১৪ টি গরু নিয়ে ঝালাপালা হয়ে যাচ্ছি।"

Gosaba: থানার ভিতরেই মল-মূত্র ত্যাগ! ভাবতেও পারবেন না সন্দেশখালি আবহে এত কিছুর পরেও কেন গোসাবার বড়বাবু শিরোনামে
গোসাবা থানার বড়বাবু
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

গোসাবা: সকাল হতেই কাজের দিদি ‘লক্ষ্মীদি’ গজগজ করতে করতে বলতে থাকেন, ‘আর বাপু ভালো লাগছে না, সারাদিন এটা করো, ওটা করো, এটা দাও, ওটা দাও।’ এখন আবার বড়বাবুর নতুন সব ফরমান। ওরা খাবার পেয়েছে তো? জল দেওয়া হয়েছিলো? ডাক্তার এসেছিলেন? জীবনটা ঝালাপালা হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু কী হয়েছে? প্রশ্নটা করা হয়েছিল ওই লক্ষ্মীদিকে।   উত্তরে বললেন,  “একে তো বড়বাবুর সংসারের সব কাজ, তার উপও ১৪ টি গরু নিয়ে ঝালাপালা হয়ে যাচ্ছি।”

কিন্তু কেসটা কী? থানার বড়বাবুর কাছে হঠাৎ করে কেন ১৪টি গরু? গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ২৫শে ফেব্রুয়ারি রবিবার গোসাবা থানা এলাকার শম্ভুনগর কামাখ্যাপুর ঘাট থেকে ১৪টি গরু উদ্ধার করে গোসাবা থানার পুলিশ। জলপথে গরু পাচার হচ্ছে শুনে বারুইপুর পুলিশ জেলার গোসাবা থানার ওসি রেফাজুল মণ্ডল একটি সক্রিয় পুলিশ টিম তৈরি করে অভিযান চালিয়ে গরু গুলিকে উদ্ধার করে।

পুলিশ আসছে দেখে নৌকা ফেলে পালিয়ে যায় পাচারকারীরা। ঘটনার তদন্তে গোসাবা থানার পুলিশ। উদ্ধার হওয়া গরু গুলিকে পুলিশ পোর্টালে সিজ দেখানোর পর বিপাকে পুলিশ। গরুগুলিকে কোথায় রাখা হবে? তাঁরা কী খাবে? তাঁদের পরিচর্যার দায়িত্ব কে নেবে? এমন এক সময়ে তাই বাধ্য হয়েই বড়বাবু দায়িত্ব নেন নিজেই। সময় করে খাওয়া দেওয়া, থাকার উপযুক্ত ব্যবস্থা করা সহ যাবতীয় কাজের দেখাশোনার দায়িত্বে থানার বড়বাবু নিজেই।

থানা চত্বরে রাখা হয়েছে ওদের

এবিষয়ে গোসাবা থানার ওসি বলেন,  “১৪টি গরু রাখা, তাদের দেখাশোনা সহ যাবতীয় ব্যবস্থা করা খুবই সমস্যার। তবে থানার সকলের সহযোগিতায় এখন সব ঠিকঠাকই চলছে। রাতে মশারির ব্যবস্থা করা হয়েছে। তিনটি গরুর ঔষধ চলছে।” তিনি বলেন, “ছোটবেলায় বাড়িতে বাবাকে দেখেছিলাম গরু পালন করতে। বাড়ির গরুর দুধ খেয়েছি অনেক। পুলিশের চাকরিতে সেসব আর হয় না। তাই সুযোগ যখন এসছে যত্ন নেওয়ার চেষ্টা করছি।”

বড়বাবুর পাশেই দাঁড়িয়ে ছিলেন ‘লক্ষ্মীদি’। তিনি বলেন,  “একটু কষ্ট হচ্ছে বটে, তবে বড়বাবু যখন এসে বলে জানো লক্ষ্মীদি আজ সেই ছোট অসুস্থ গরুর বাচ্চাটা উঠে দাঁড়িয়েছে। আমার হাতে বিচুলি খেয়েছে তখন ভালো লাগে।” লক্ষ্মীদির মুখে তখন অনাবিল আনন্দ।

সন্দেশখালি থেকে ঘণ্টা দুয়েক দূরেই গোসাবা থানা। এক সময়ে পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকট হয়ে উঠেছিল গ্রামবাসীদের। এদিকে, তার অদূরেই গোসাবা থানার বড়বাবু যা নজির গড়েছেন, তাতে কুর্নিশ জানাচ্ছেন গ্রামবাসীরাই।

Next Article