দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ভয়ঙ্কর হচ্ছে রাজ্যের কোভিড (COVID 19) পরিস্থিতি। এ হারে করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকলে একটা সময়ের পর হাসপাতালগুলিতেও যে শয্যার টান পড়বে তা কার্যত মেনে নিয়েছেন চিকিৎসকরা। তবে স্বাস্থ্য দফতরও সবরকম চেষ্টা চালাচ্ছে। ইতিমধ্যেই সংক্রমণ মোকাবিলায় ক্যানিংয়ে ২৫০ বেডের নতুন করোনা হাসপাতাল তৈরি হচ্ছে। কাজ দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন জেলাশাসক।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে জেরবার রাজ্যবাসী। প্রতিদিনই বহু মানুষ নতুন করে করোনা সংক্রমনের শিকার হচ্ছেন। পরিস্থিতি দিনকে দিন উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। বহু হাসপাতালেই ‘ঠাঁই নাই’ পরিস্থিতি। বেড অপ্রতুল থাকায় চিকিৎসা পরিষেবা পেতে সমস্যার মধ্যে পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।
দিন যত এগোবে এ অবস্থা যে আরও ঘোরাল হবে তা অনুমেয়। তাই মানুষকে চিকিৎসা পরিষেবা দিতে তৎপরতা শুরু হয়েছে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলায়। সুন্দরবনের ক্যানিং মহকুমার মানুষ এতদিন ক্যানিং মহকুমা স্পোর্টস কমপ্লেক্সে অস্থায়ী কোভিড হাসপাতালের উপরে নির্ভরশীল রয়েছেন। যে ভাবে করোনা সংক্রমনের দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ছে তাতে আক্রান্তের সংখ্যা অধিকতর হতে পারে।
তাই সেই সম্ভাবনাকে মাথায় রেখেই এবার করোনা হাসপাতাল তৈরি হচ্ছে এখানে। বৃহস্পতিবার বিকেলে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার জেলাশাসক অন্তরা আচার্য, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সোমনাথ মুখোপাধ্যায়রা জরুরি ভিত্তিতে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতাল সংলগ্ন জমিতে ৫ তলা বিশিষ্ট নির্মীয়মাণ মাদার অ্যান্ড চাইল্ড হাব বিল্ডিংটি পরিদর্শন করেন।
ক্যানিং মহকুমা স্পোর্টস কমপ্লেক্সে এখন মাত্র ৫০টি বেড রয়েছে। ক্যানিংয়ের দু’টি ব্লক গোসাবা ও বাসন্তী এলাকার করোনা আক্রান্তদের সেখানে চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে। সেখানেও আরও ১২টি বেড বাড়ানো হচ্ছে। যে ভাবে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে, মানুষের যাতে চিকিৎসা পরিষেবা পেতে কোনও অসুবিধা না হয় তাই পাঁচতলা ভবনটিতে জরুরি ভিত্তিতে ২৫০ বেডের নতুন কোভিড হাসপাতাল তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জেলাশাসক অন্তরা আচার্য এদিন পূর্ত দফতরের আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছেন দ্রুততার সঙ্গে এই কাজ শেষ করার।