নামখানা: ইউরোপে তৈরি হবে বিভিন্ন ডিজাইনের পোশাক। সেই সব পোশাকের ডিজাইনের জন্য ব্যবহৃত হবে পাখির পালক। সে জন্য প্রচুর পাখিকে মেরে তাদের পালক ও দেহাংশ পাচার করা হচ্ছে এ রাজ্য থেকে। এ রকম পাখি ও পাখির দেহাংশের আন্তর্জাতিক পাচার চক্রের সন্ধান পেল দক্ষিণ ২৪ পরগনার বনবিভাগের অধীন ওয়াইল্ড লাইফ ক্রাইম কন্ট্রোল ব্যুরো। বৃহস্পতিবার ঢোলাহাট থানার বেজপুকুর গ্রামে সালাউদ্দিন মীর নামে এক যুবকের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে বিপুল সংখ্যক পাখির দেহাংশ উদ্ধার করল বনবিভাগের নামখানা রেঞ্জ। উদ্ধার হয়েছে ৯৩৩টি মাছরাঙার দেহাংশ, ৮৬৮টি জঙ্গলের লাল ও ধূসর রঙের পাখির রঙিন পালক ও বিলুপ্ত প্রজাতির ফ্রাঙ্কোলিনের ১৬৮টি শুকনো কঙ্কাল।
জানা গিয়েছে, পাখির দেহাংশ পাচারে অভিযুক্ত সালাউদ্দিন ২০১৬ সাল থেকেই এই ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। দীর্ঘ দিন ধরেই সে পাখির দেহাংশ বিদেশে পাচার করছে বলে অভিযোগ। বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, রাশিয়া, কানাডা, ব্রিটেন, আইসল্যান্ড, ডেনমার্কের মতো দেশে পাখির পালক ও দেহাংশ পাচার করা হত। নামখানা, রামগঙ্গা, ভগবতপুর, বারুইপুরে তল্লাশি চালিয়ে এই সাফল্য পেয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা বন দফতর। ধৃত সালাউদ্দিনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযুক্তকে আজ আদালতে তোলা হবে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই পাচারচক্রে ব্যাপারে বিস্তারিত জানার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
এই পাচারের বিষয়টি নিয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডিএফও মিলন মণ্ডল বলেছেন, “গত কয়েক বছর ধরে রাশিয়া, জাপান, বুলগেরিয়া, জার্মানি, আমেরিকা, নাইরোবি, কেনিয়া ও চিলিতে পাচার করা হত। পাখির দেহাংশ ও পালক নিয়ে শৌখিন সামগ্রী ও মাছ ধরার টোপ তৈরী করা হত। এই চক্রের সন্ধান পেতে ধৃতকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করবে বন দফতর। শুক্রবার ধৃতকে কাকদ্বীপ মহকুমা আদালতে পেশ করা হবে।”