ভাঙড়: ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৈরি হয়েছিল নতুন দল ‘ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্ট’। প্রথমবারের নির্বাচনে জয়ী হয়ে আইএসএফ-এর বিধায়ক হন নওশাদ সিদ্দিকি। বিভিন্ন ইস্যুতে শাসক দলের বিরুদ্ধে সরব হতেও দেখা যায় তাঁকে। ২০২৬-এর বিধানসভা ভোটের আগেই কি সেই আইএসএফ-এ ভাঙনের সুর! একে একে দল ছাড়ছেন কর্মীরা! সম্প্রতি ভাঙড়ে দেখা গেল সেই ছবি।
এলাকায় সম্প্রতি তৃণমূল যে বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করেছিল, সেখানে উপস্থিত ছিলেন ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লা ও যাদবপুরের সাংসদ সায়নী ঘোষ। মঞ্চ থেকে দলীয় কর্মীদের বার্তা দিতেও শোনা যায় তাঁদের। এরপর মঞ্চে উঠে তৃণমূলের পতাকা হাতে নেন বহু আইএসএফ ছেড়ে আসা কর্মী। শওকতদের দাবি, কয়েক’শ কর্মী তৃণমূলে যোগদান করেন শনিবারের ওই সভায়। সায়নী ও শওকত তাঁদের হাতে পতাকা তুলে দেন।
শওকত জানিয়েছেন, ভাঙড়ের শানপুকুর অঞ্চল ও পোলেরহাট ২ নম্বর অঞ্চল থেকে প্রায় তিনশোরও বেশি আইএসএফ কর্মী ও জমি কমিটির সদস্যরা তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেছেন।
বিধায়ক বলেন, “দুটি অঞ্চল থেকে কয়েকশ কর্মী দলে যোগদান করেছেন। ২০২৬ পর্যন্ত এভবেই চলতে থাকবে। আইএসএফ-কে দূরবীন দিয়ে খুঁজতে হবে এলাকায়।” আইএসএফ বারবার দাবি করে, তাদের কর্মীদের ভয় দেখিয়ে তৃণমূলে যোগদান করানো হয়। এই অভিযোগে গুরুত্ব দিতে নারাজ শওকত। তাঁর দাবি, ভোটের ফল বলে দেবে, সাধারণ মানুষ কাকে চায়। আইএসএফ নেতা নওশাদ সিদ্দিকি সম্পর্কে তিনি বলেন, “ওর মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে। ওর কথায় গুরুত্ব দেওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই।”