জয়নগর: প্রথম স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও জোর করে বিয়ে। এবার দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী যখন প্রথম পক্ষের কথা জানতে পারে সেই বাধে বিপত্তি। শুরু হয় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি। এরপরই চরম পদক্ষেপ নেয় যুবক। ঘুমন্ত স্ত্রীকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় স্বামী। গুরুতর জখম অবস্থায় গৃহবধূ বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর পেটে গুলি লেগেছে।
ঘটনাস্থান জয়নগর থানার অন্তর্গত ঢোষা-চন্দনেশ্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের তিলপী গ্রামের। বছর পাঁচেক আগেই গ্রামেরই যুবক সাবিরুল শেখ ভয় দেখিয়ে জোর করে আয়েষাকে বিয়ে করে বলে অভিযোগl স্বামীর প্রথম স্ত্রীর কথা জানতে পারেন ওই গৃহবধূ। এরপর প্রতিদিনই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কলহ চলতো বলে প্রতিবেশীদের দাবি। এমনকি বেশকিছু দিন আগে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে চরম গণ্ডগেল হলে সাবিরুল শ্বশুরের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে পালিয়ে যায়। পরে গ্রামে সালিশি সভা হয় এবং ওই দম্পতি আবারও সংসার করতে থাকে।
সোমবার এলাকার মনসাতলায় একটি রাজনৈতিক দলের জনসভা ছিল। তিলপি গ্রামের সমস্ত মানুষজন সেই জনসভায় গিয়েছিলেন।গ্রাম প্রায় জনমানব শূণ্য ছিল।আয়েষার শরীর খারাপ থাকায় ঘরের মধ্যে বিছানায় ঘুমিয়েছিলেন। সুযোগ বুঝে সাবিরুল ঘরের মধ্যে ঢুকে স্ত্রী পেটে গুলি চালিয়ে দিয়ে এলাকা থেকে পালিয়ে যায়।অন্যদিকে যন্ত্রণায় কাৎরাতে থাকে ওই গৃহবধু।পরিবারের অন্যান্যরা মিটিং থেকে ফিরে এসে দেখেন ঘরের মধ্যে রক্তাক্ত অবস্থা ওই গৃহবধু পড়ে রয়েছেন।তারা গ্রামবাসীদের সাহায্যে ওই গৃহবধুকে উদ্ধার করে প্রথমে পদ্মেরহাট হাসপাতালে নিয়ে যায় পরে সেখান থেকে বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায় ওই গৃহবধুকে।ঘটনার খবর পেয়ে তিলপি গ্রামে হাজীর হয় জয়নগর থানার পুলিশ।অভিযুক্তের খোঁজে এলাকায় তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: Hareram Singh: চাকরি পাচ্ছে না তৃণমূল, কারখানার কর্তৃপক্ষকে ‘ডাণ্ডা’ দেখানোর হুমকি শাসকদলের বিধায়কের