Bhangar TMC Clash: শওকতকে উৎখাতের ডাক, ‘হাত মেলালেন’ একদা ‘শত্রু’ কাইজার-আরাবুল
Bhangar: আসলে সম্প্রতি সম্প্রতি তৃণমূল নেতা কাইজার আহমেদের বাড়ির সামনে হামলার একটি ঘটনা ঘটে। অভিযোগ, তৃণমূলেরই অপর গোষ্ঠীর নেতা বাহারুল ইসলাম ও সাবিরুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল কর্মী-সমর্থক এসে কাইজারকে লক্ষ্য করে অশালীন গালিগালাজ ও খুনের হুমকি দেয়। এই ঘটনায় শওকত মোল্লার দিকেই আঙুল তুলেছিলেন কাইজার।

ভাঙড়: আসন্ন বিধানসভা ভোট। তার আগে কি ভাঙড়ে নতুন অন্য কোনও সমীকরণ তৈরি হচ্ছে? অন্তত, এই প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে রাজনীতি অলিগলিতে। কারণ, শওকত মোল্লার কাছে এখন বড় চ্যালেঞ্জ আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি নন, তাঁরাই দলের অন্য দুই নেতা কাইজার আহমেদ ও আরাবুল ইসলাম। কারণ, একসঙ্গে এই দুই তৃণমূল নেতা এবার বেঁকে বসেছেন শওকতের বিরুদ্ধে। তোলাবাজি, খুন ইত্যাদির অভিযোগ তুলেছেন তাঁরা। এমনকী, ভাঙড় থেকে ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লাকে উৎখাতেরও ডাক দিয়েছেন তাঁরা।
একটি প্রবাদ আছে না? ‘শত্রুর শত্রু আমার বন্ধু’। এখানেও সেই ঘটনা। একটা সময় এই ভাঙড় কাইজার আর আরাবুলের কম গণ্ডগোল দেখেনি। তাঁদের মধ্যে ‘সাপে-নেউলের’ সম্পর্ক ছিল দীর্ঘদিনের। দুই গোষ্ঠীর দুই নেতার বিরুদ্ধেই নানান অভিযোগ উঠেছে বারবার। কিন্তু এখন বদলেছে পরিস্থিতি। দুজনেরই ‘টার্গেট’ এখন শওকত।
হঠাৎ কেন পরিস্থিতি বদলাল?
আসলে সম্প্রতি সম্প্রতি তৃণমূল নেতা কাইজার আহমেদের বাড়ির সামনে হামলার একটি ঘটনা ঘটে। অভিযোগ, তৃণমূলেরই অপর গোষ্ঠীর নেতা বাহারুল ইসলাম ও সাবিরুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল কর্মী-সমর্থক এসে কাইজারকে লক্ষ্য করে অশালীন গালিগালাজ ও খুনের হুমকি দেয়। এই ঘটনায় শওকত মোল্লার দিকেই আঙুল তুলেছিলেন কাইজার।
আর আরাবুলের সঙ্গে তো সম্পর্কের অবনতি হয়েছে জেল থেকে ফেরার পর থেকেই। পুরনো একটি মামলায় আরাবুল জেলে ছিলেন। আর তাঁকে গরাদের পিছনে যে শওকতই পাঠিয়ছেন সে কথা একসময় খুল্লামখুল্লা বলেছিলেন আরাবুল। এরপরই দেখা গেল ভোটের ঠিক আগে-আগে ‘হাত মেলালেন’ কাইজার-আরাবুল।
কাইজার কী বলেছেন?
কাইজার আহমেদ বলেন, “আমি আশঙ্কা করছি এরপর আমায় নিয়ে ব্যক্তিগত কুৎসা হবে। হয়ত প্রাণেও মারতে পারে। যাতে ভাঙড়ের নাম বদনাম না হয়, আর ভাঙড়ে মেয়ে দিয়ে ভয় না পায় তাই শয়তান জুলুমবাজের বিরুদ্ধে (ভাঙড়ে যিনি দায়িত্বে আছেন) আমার প্রতিবাদ। ওকে দায়িত্ব থেকে অপসারণ করা উচিত। ফুরফুরা শরীফের হুজুররা জেহাদ করছেন। এর পরিণাম পরিণতি পড়তে পারে। তাই দলের যাতে ক্ষতি না হয় তাই আমরা বলতে পারি এই একটা লোকের জন্য পার্সেনটেজ অফ মুসলিম ভোট কাটছে।”
আরাবুল কী বলেছেন?
তিনি বলেন, “ভাঙড়ে একটা অরাজকতা চলছে। একতরফা ভাবে কিছু ঘটনা ঘটছে। কাইজার এখনও ব্লকের সভাপতি। তাঁকে বদলানো হয়নি। তাঁর পার্টি অফিস ভাঙচুর হচ্ছে গায়ের জোরে। এই ধরনের একজন ব্যক্তি ভাঙড়ে রাজনীতি নয় খুন করতে এসেছে।”
শওকতের প্রতিক্রিয়া…
যদিও এই সব কিছুকেই পাত্তা দিতে নারাজ বিধায়ক। তিনি বললেন, “কে কী বলল ছেড়ে দিন। ওরা তো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নয়। যে যা বলছে ছেড়ে দিন।”
