‘LaQshya’ প্রকল্পে রাজ্যে সেরা কাকদ্বীপ মহকুমা হাসপাতাল

সৈকত দাস |

Aug 23, 2021 | 9:26 PM

LaQshya: কেন্দ্রীয় সরকারের ‌স্বাস্থ্য মন্ত্রকের লক্সো (LaQshya) প্রকল্পে রাজ্যের মধ্যে কাকদ্বীপ মহকুমা হাসপাতাল সেরার শিরোপা পেল। সম্প্রতি স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পক্ষ থেকে শংসাপত্র দিয়ে তা জানানো হয়েছে।

LaQshya’ প্রকল্পে রাজ্যে সেরা কাকদ্বীপ মহকুমা হাসপাতাল

Follow Us

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: কেন্দ্রের সেরার শিরোপা পেল রাজ্য। প্রাতিষ্ঠানিক প্রসবের হার বাড়াতে দক্ষিণ ২৪ পরগণার সুন্দরবনের কাকদ্বীপ মহকুমা হাসপাতালে আধুনিক ব্যবস্থাপনা, যা কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের ‘LaQshya’ প্রকল্পে রাজ্যের মধ্যে পেল সেরার শিরোপা। কেন্দ্রীয় সরকারের ‌স্বাস্থ্য মন্ত্রকের লক্সো (LaQshya) প্রকল্পে রাজ্যের মধ্যে কাকদ্বীপ মহকুমা হাসপাতাল সেরার শিরোপা পেল। সম্প্রতি স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পক্ষ থেকে শংসাপত্র দিয়ে তা জানানো হয়েছে। সোমবার দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন ও ডায়মন্ড হারবার স্বাস্থ্য জেলার পক্ষ থেকে সম্মানিত করা হয় হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সদের।

কাকদ্বীপ মহকুমা হাসপাতাল

মূলত, প্রসূতি মায়েদের বাড়ি থেকে নিয়ে আসার পর আধুনিক অপারেশন থিয়েটারে সিজার করানো ও প্রসবের পর শিশু ও মাকে সুস্থ করে বাড়ি ফেরানো পর্যন্ত পরিকাঠামো তৈরী করাই এই প্রকল্পের লক্ষ্য। কিন্তু রাজ্য সরকারের উদ্যোগে প্রাতিষ্ঠানিক প্রসবের হার বাড়াতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবনের কাকদ্বীপ মহকুমা হাসপাতালে আগে থেকেই আধুনিক মানের পরিকাঠামো গড়ে তোলা হয়েছিল। ফলে রাজ্যের মধ্যে একমাত্র মহকুমা হাসপাতাল হিসেবে কেন্দ্রীয় সরকারের ‌স্বাস্থ্য মন্ত্রকের লক্সো প্রকল্পে আবেদন করেছিল এই হাসপাতাল।

স্বাস্থ্য মন্ত্রক হাসপাতালের পরিকাঠামো নিয়ে সমস্ত দিক খতিয়ে দেখে এই সেরার শংসাপত্র দিয়েছে। ফলে এই হাসপাতালে প্রসূতি ও সদ্যোজাতর মৃত্যু হার নেই বললেই চলে। সুন্দরবনের পাথরপ্রতিমা, নামখানা, সাগর ও কাকদ্বীপ ব্লকের উপকূলবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের ভরসা এখন এই হাসপাতাল। হাসপাতালের সুপার কৃষ্ণেন্দু রায় এই সাফল্যকে টিম ওয়ার্কের ফল বলে জানিয়েছেন। চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী থেকে অ্যাম্বুল্যান্স চালকের ভূমিকাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।

হাসপাতালের সুপার কৃষ্ণেন্দু রায়ের কথায়, লক্সো হচ্ছে লেবার রুম এবং অপারেশন থিয়েটারের উন্নতিকরণ। একজন প্রসূতি হাসপাতালে ভর্তি হলেন, তাঁর সেবা শ্রুশুষা, ডেলিভারি এবং মা ও সন্তানকে সম্পূর্ণ সুস্থ করে বাড়ি পাঠানো- এই পুরো বিষয়টিই কেন্দ্রীয় সরকার একটি মান নির্ধারণ করেছে। সেই কোয়ালিটি স্ট্যান্ডার্ডকে সুনির্দিষ্ট ভাবে মেনে সন্তান সহ মাকে বাড়ি পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়া, পরিবারের মুখে হাসি ফোটানো, এই গোটা প্রক্রিয়াটি একটি প্যারামিটার মেনে করতে হয়। এটাই লক্সো প্রকল্প। সেটাতেই আমরা সেরার শিরোপা পেয়েছি। কেন্দ্রীয় সরকারের শংসাপত্র পেয়েছি। এই পাওনায় হাসপাতালের সমস্ত চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীর সমান অবদান রয়েছে। তাঁদের প্রত্যেকের প্রশংসা প্রাপ্য। আরও পড়ুন: ‘দিনের পর দিন আমার সঙ্গে…’, কথা দিয়েও কথা রাখেননি প্রেমিক, থানায় গেলেন যুবতী!

Next Article