Kashipur Murder: জেঠিমা বোনকে গলা টিপে মেরে পুঁতল পাঁকে! কাশীপুরে নৃশংস কাণ্ডের সাক্ষী থাকল সাত বছরের শিশু

Satyajit Mondal | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Jun 24, 2023 | 10:22 AM

Kashipur Murder: কান্নায় ভেঙে পড়েন পরিবারের সদস্যরা। প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলেন তদন্তকারীরা। তারপরই পুলিশের নজর পড়ে একটি বাচ্চা ছেলের ওপর। বয়স বড়জোর সাত। তাকে ধরেই জিজ্ঞাসাবাদ করতে থাকে পুলিশ।

Kashipur Murder: জেঠিমা বোনকে গলা টিপে মেরে পুঁতল পাঁকে! কাশীপুরে নৃশংস কাণ্ডের সাক্ষী থাকল সাত বছরের শিশু
চার বছরের শিশুকে খুনের অভিযোগ
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

কাশীপুর: পরিবারের একটা জমি নিয়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে ঝামেলা চলছিল। নিত্য দিনই দুই ভাইয়ের মধ্যে নানান ইস্যুতে ঝামেলা। ঝগড়া লেগে থাকত দুই বউয়ের মধ্যেও। প্রতিবেশীরাও সেকথা জানতেন। কিন্তু ছোট ভাইয়ের চার বছরের মেয়ের নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার পিছনে যে এত বড় কোনও কারণ থাকতে পারে, তা দুঃস্বপ্নেও ভাবতে পারেননি কেউ। ভাইয়ের সঙ্গে ঝামেলা, তাই ভাইয়ের ছোট্ট চার বছরের মেয়েকেই গলা টিপে খুনের অভিযোগ উঠল জ্যেঠা-জেঠিমার বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাশীপুরে। ইতিমধ্যেই অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবিতে কাশীপুর থানার সামনে শিশুর দেহ নিয়ে বিক্ষোভও দেখান গ্রামবাসীরা।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শিশুটির বাবার নাম ভবসিন্ধু গায়েন। চার ভাই রঘুনাথপুর এলাকায় থাকেন। পরিবারের একটি জমি নিয়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে বচসা চলছিল। পাশাপাশিই থাকতেন দু’জন। দুই পরিবারের খাওয়াও আলাদা। কিন্তু তাঁদের সন্তানরা এক সঙ্গেই বাড়ির সামনে খেলাধুলো করত। বৃহস্পতিবার সকালেই ভাইবোনরা খেলছিল। আচমকাই ভবসিন্ধু ও তাঁর স্ত্রী কৃষ্ণার ছোট মেয়েকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। প্রথমটায় তাঁরা ভেবেছিলেন প্রতিবেশীদের বাড়ি গিয়ে থাকতে পারে। কিন্তু দীর্ঘক্ষণ কেটে যাওয়ার পর শুরু হয় খোঁজ। এলাকার সম্ভাব্য সমস্ত জায়গায় খোঁজ করা হয়।
শেষে বাড়ির সামনেই একটি পুকুরে চলে তল্লাশি। ইতিমধ্যে খবর দেওয়া হয় কাশীপুর থানায়। পুলিশ গিয়েও ডুবুরি নামিয়ে তল্লাশি চালায়। পুকুর থেকে উদ্ধার হয় ছোট্ট চার বছরের মেয়ের নিথর দেহ। জলে দীর্ঘক্ষণ পড়ে থাকায় দেহটি ফুলে উঠেছিল।

কান্নায় ভেঙে পড়েন পরিবারের সদস্যরা। প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলেন তদন্তকারীরা। তারপরই পুলিশের নজর পড়ে একটি বাচ্চা ছেলের ওপর। বয়স বড়জোর সাত। তাকে ধরেই জিজ্ঞাসাবাদ করতে থাকে পুলিশ। তখন সে পুলিশকে সবটা জানিয়ে দেয়। পুলিশকে জানায়, তার জেঠিমাই কীভাবে বোনের গলা টিপে শ্বাসরোধ করে খুন করেছে। তারপর লুকিয়ে পুকুরের পাকে পুঁতে দেওয়া হয় দেহ। কাউকে বললে, তাকেও মেরে ফেলবে বলে হুমকি দেয় জেঠিমা।

ইতিমধ্যেই একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। কেন খুনের অভিযোগ নেওয়া হচ্ছে না, তা নিয়ে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। দেহ থানার সামনে ফেলে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। আপাতত দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ধৃত মহিলা ও তাঁর স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। কীভাবে পারিবারিক আক্রোশ একটি ছোট্ট শিশুর ওপর গিয়ে পড়ল, তা ভেবেই স্তম্ভিত পড়শিরা।

Next Article