দক্ষিণ ২৪ পরগনা: পঞ্চায়েত ভোটের টিকিট নিয়ে শাসকদলের বুথস্তরের কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ-বিক্ষোভ তো দেখা গিয়েছেই। একইসঙ্গে ক্ষোভের সুর শোনা যাচ্ছে দলের বিধায়কদের গলাতেও। হুমায়ুন কবীর, মনোরঞ্জন ব্যাপারীর পর এবার তালিকায় নাম লেখালেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাট পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক গিয়াসউদ্দিন মোল্লা। প্রাক্তন সংখ্যালঘু উন্নয়নমন্ত্রী গিয়াসউদ্দিন স্পষ্ট বলছেন, দলের প্রার্থীদের হয়ে প্রচার করা তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়। তাঁর অভিযোগ, দলাদলি রুখতে তাঁর মনোনীত ৫০ শতাংশ প্রার্থীকে প্রতীক দিয়েছে দল। বাকি ৫০ শতাংশ অন্য। অভিযোগের আঙুল মানবেন্দ্র মণ্ডলের দিকে। যিনি মগরাহাট-১ ব্লকের তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক।
গিয়াসউদ্দিন মোল্লার বক্তব্য, ৪৯ হাজার ভোটে জিতেছেন তিনি। লোকসভা ভোটে সবথেকে বেশি লিড ছিল তাঁর বিধানসভায়। এখন যাঁরা প্রার্থী হয়েছেন, তাঁদের সঙ্গে কাজ করা সম্ভব নয় বলেও দলকে জানাতে চলেছেন তিনি। গিয়াসউদ্দিনের কথায়, “দল হয়ত আমার প্রতি বর্তমানে ভরসা রাখতে পারছে না। আমি দলকে জানিয়ে দিচ্ছি এদের সঙ্গে আমি রাজনীতি করতে পারব না। এদের নিয়ে মিটিং মিছিল করতে পারব না। দলের যা নিয়ম তা মেনে আমি প্রার্থী তালিকা পাঠাই। সকলের সঙ্গে মিটিং করেছিলাম। পরে দেখলাম ৫০-৫০ ভাগ হয়ে গিয়েছে। দলাদলি ছিল। সেসব মেটাতে এই ভাগাভাগি হয়েছে। ৫০ শতাংশে আমাদের মনোনীতরা থাকলেও বাকি ৫০ শতাংশে এমন লোকজন যাদের দলের সঙ্গে কোনও সম্পর্কই নেই। মিটিং মিছিলে থাকে না। মানবেন্দ্র মণ্ডলকে দায়িত্ব দিয়েছে। উনি প্রার্থী করেছেন।”
যদিও মানবেন্দ্র মণ্ডলের পাল্টা বক্তব্য, “উনি অনেক কথাই বলতে পারেন। তবে দল অর্ধেক টিকিট ভাগ করে দিয়েছে। আসলে দল বুঝেছে কাকে কী দেওয়া দরকার। সেইমতোই সবটা হয়েছে। আসলে অর্ধেক টিকিট পেয়ে উনি ভেঙে পড়েছেন। মানসিক অবসাদে তিনি এসব কথা বলছেন।”