ডায়মন্ড হারবার: কলকাতার গল্ফগ্রীনে মহিলার কাটা মুণ্ড উদ্ধারের ঘটনায় তাঁর জামাইবাবুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁকে ডায়মন্ড হারবারের বাসুলডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণ পঞ্চগ্রামের লস্কর পাড়ার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল রাত ৯টা নাগাদ ডায়মন্ড হারবার থানার পুলিশ আতিয়ারকে প্রথমে আটক করে। তারপর কলকাতা পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
পুলিশ সূত্রে খবর, আতিয়ার কলকাতায় রঙের ঠিকাদার ছিলেন। অন্যদিকে, সেজো শ্যালিকা খতেজা বিবি কলকাতার বিভিন্ন বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করতেন। আতিয়ার বাসুলডাঙা স্টেশন থেকে রোজ সকালের ট্রেন ধরে কর্মস্থলে পৌঁছতেন। একই রকম ভাবে ধামুয়া স্টেশন থেকে ট্রেন ধরে কলকাতায় পৌঁছতেন খতেজা বিবি।
স্বামী পরিতক্তা খতেজা দুই ছেলেকে নিয়ে মগরাহাট থানার রাধানগর এলাকায় বাপের বাড়িতে থাকতেন। তাঁর বিয়ে হয়েছিল সরিষার কালিতলা এলাকায়। মাঝে মধ্যে শ্যালিকাকে নিয়ে কলকাতায় থাকতেন তিনি। ফলে শ্যালিকার সঙ্গে আতিয়ারের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল বলে এলাকার বাসিন্দাদের দাবি। ছোট ছোট পাঁচ মেয়েকে নিয়ে অভাবের সংসার ছিল আতিয়ারের। অভিযোগ, এলাকায় বিভিন্ন রকম অসামাজিক কাজের সঙ্গে আতিয়ার জড়িত ছিল বলে অভিযোগ। তবে আতিয়ারের পরিবার শ্যালিকা খাতেজা বিবিকে খুন করেছে বলে মানতে নারাজ। উপপ্রধান, বাসুলডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েত সুজাউদ্দিন সাঁফুই লেন, “জেরা করলে বুঝে যাবে কেমন ছেলে। ওঁর শ্যালিকা ছিল। মেয়েটাও স্বামী ছাড়া। তবে খুব একটা সুবিধাবাদী ছিলেন না।”