Kakdwip: আইনজীবীর চেম্বার ছেলে আইনের ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ, খুনের অভিযোগ পরিবারের
Kakdwip Body: পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, ওই আইনজীবীর সঙ্গে সম্পর্কের জেরেই আত্মহত্যা করেছে সোনিয়া। পরিবারের পক্ষ থেকে আইনজীবীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তোলা হয়েছে খুনের অভিযোগ। তবে মৃত্যুর সঠিক কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। কাকদ্বীপ থানার পুলিশ অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রজু করে তদন্ত শুরু করেছে।

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: আইনজীবীর চেম্বার থেকে উদ্ধার ল- কলেজের ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ। দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপ থানার প্রতাপাদিত্য গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় এক আইনজীবীর চেম্বার থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হল ল- কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী সোনিয়া হালদারের (২১) দেহ। বাড়ি কাকদ্বীপের গান্ধীনগর এলাকায়। জানা গিয়েছে, প্রতিদিনের মতোই সে আইনজীবী শেখ মানোয়ার আলমের কাছে প্র্যাকটিসের জন্য গিয়েছিল।
পরিবারের দাবি, কিছুক্ষণ পরই খবর আসে, চেম্বারের ভিতরে ঝুলছে তাঁর দেহ। খবর পেয়ে পরিবার ও কাকদ্বীপ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। সোনিয়ার ব্যাগ থেকে একটি প্রেমপত্র উদ্ধার হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, ওই আইনজীবীর সঙ্গে সম্পর্কের জেরেই আত্মহত্যা করেছে সোনিয়া। পরিবারের পক্ষ থেকে আইনজীবীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তোলা হয়েছে খুনের অভিযোগ। তবে মৃত্যুর সঠিক কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। কাকদ্বীপ থানার পুলিশ অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রজু করে তদন্ত শুরু করেছে।
বৃহস্পতিবার কাকদ্বীপ মহাকুমা হাসপাতাল মর্গে দেহ ময়নাতদন্ত হবে। পুলিশ ছাত্রীর মোবাইল উদ্ধার করেছে। করড্ন করে ঘিরে রাখা হয়েছে ঘটনাস্থল। ছাত্রীর মা বলেন, “কিছুই বুঝতে পারছি না, কী থেকে কী হল! ও তো সবে গিয়েছিল। তারপর লোকে আমার খবর দিল, তোমার মেয়ে আর নেই। যে উকিলের কাছে গিয়েছিল, তারও কোনও হদিশ নেই।” ছাত্রীর বোন বলেন, “বাবার গিয়ে দেখে অজ্ঞান হয়ে যায়। শেখ মনোহর আলমের চেম্বারে দিদিকে পাখায় গলায় ওড়নার ফাঁস লাগিয়ে ঝুলতে দেখে। শেখ মনোহর আলমই কাকদ্বীপ পুলিশকে খবর দিয়েছে। তারপর থেকে আমরা ফোন করছি, ফোন সুইচ অফ। আমাদের তো মনে হচ্ছে, এটা খুন।” ওই ছাত্রীর মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। তবে মেয়ের ফোনের সিম পুলিশ পায়নি।
