Minor Harassment: নির্যাতিতার পাশে আরাবুল, স্কুলে ভর্তি নিয়ে ফোন প্রধান শিক্ষককে

TV9 Bangla Digital | Edited By: সঞ্জয় পাইকার

Aug 03, 2022 | 9:34 PM

Bhangar: এ দিন আরাবুল বলেন, 'টিভি ৯ বাংলার খবরের জেরে আমরা জানতে পারি গোটা বিষয়টি। এরপর ওই নির্যাতিতার বাড়ি যাই।'

Minor Harassment: নির্যাতিতার পাশে আরাবুল, স্কুলে ভর্তি নিয়ে ফোন প্রধান শিক্ষককে
প্রতীকী চিত্র

Follow Us

ভাঙড়: নির্যাতিতা নাবালিকাকে স্কুলে ভর্তি না নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। সেই খবর সম্প্রচার করে টিভি ৯ বাংলা। খবরটি জানার পর ওই নির্যাতিতার বাড়িতে পৌঁছন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা আরাবুল ইসলাম। নাবালিকার পরিবারের সঙ্গে দেখা করার পাশাপাশি স্কুলের প্রধান শিক্ষককে ফোন করে তাঁর ভর্তির বিষয়েও কথা বলেন তিনি।

এ দিন আরাবুল বলেন, ‘টিভি ৯ বাংলার খবরের জেরে আমরা জানতে পারি গোটা বিষয়টি। এরপর ওই নির্যাতিতার বাড়ি যাই। গোটা বিষয়টি শুনি। আমি ওর পাশে আছি। মেয়েটি এগারো ক্লাসে পড়ে। ওর যাতে ভবিষ্যতে কোনও অসুবিধা না হয়, সেই বিষয়ে আমরা নজর রাখব।’ পাশাপাশি নির্যাতিতাও টিভি ৯ বাংলাকে ধন্যবাদ জানিয়েছে তার ঘটনা তুলে ধরার জন্য।

বস্তুত, গত ৯ জুন নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে নাম জড়ায় পাড়ারই এক যুবকের। ঘটনার বিষয়ে এলাকারই এক তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যকে ওই নির্যাতিতা অভিযোগ জানায়। তবে কাজের কাজ কিছু হয়নি বলেই খবর। উল্টে মেয়েটির কিছু ছবি নিয়ে ব্ল্যাকমেল করার পাশাপাশি যৌন নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে খোদ ওই সদস্যের বিরুদ্ধে। পরে নাবালিকা থানায় অভিযোগ দায়ের করে। গোট ঘটনায় গ্রেফতার হয় তিনজন। তবে অভিযুক্ত পঞ্চায়েত সদস্য পলাতক।

এরপর মেয়েটি স্কুলে ভর্তি হতে গেলে অভিযোগ তাকে প্রধান শিক্ষক ভর্তি তো নিলেন না উল্টে তাঁকে অন্য স্কুলে যাওয়ার নিদান দেন। বলেন, এতে মেয়েটি স্থানীয় ঝামেলা থেকে বেঁচে যাবে। পাশাপাশি অন্য অভিভাবকরাও চাইছেন না মেয়েটি এই স্কুলে ভর্তি হোক। তবে পরিবারের অভিযোগ, যেহেতু এই ঘটনায় নাম জড়িয়েছে স্থানীয় তৃণমূল নেতার, সেই কারণেই এমন সিদ্ধান্ত।

নির্যাতিতা বলে, ‘আমি ওই স্কুল থেকে মাধ্যমিক পাশ করেছি। আমার পাড়ার এক যুবক ও পঞ্চায়েত সদস্য আমার সঙ্গে যা করেছে তার জন্য আমার একটা বছর নষ্ট হয়েছে। এখন ভর্তি হতে গেলে স্যারেরা ভর্তি নিচ্ছেন না। প্রধান শিক্ষক বলছেন তোমার ভর্তি নিয়ে অনেক অভিভাবক আপত্তি জানিয়েছেন। এখানে ভর্তি না হওয়া ভাল। তুমি অন্য বিদ্যালয়ে ভর্তি হও।’ অপরদিকে, অভিযুক্ত শিক্ষক বলেন, ‘ভর্তি নেব না একথা বলিনি। তবে আমি ওঁকে বলেছি বিকল্প কিছু ভাবতে। রবীন্দ্র মুক্ত বিদ্যালয়ে ভর্তি হলে স্থানীয় ঝামেলা থেকে ও বেঁচে যাবে।’

Next Article