দক্ষিণ ২৪ পরগনা: আবাস যোজনায় ব্যাপক দুর্নীতির পর এবার কেন্দ্রের বরাদ্দ পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ উঠল দক্ষিণ ২৪ পরগনার নামখানা ব্লকে। এই ব্লকের পাঁচটি পঞ্চায়েত এলাকায় ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে ১৫ লক্ষ টাকার বেশি নয়ছয়ের অভিযোগ দায়ের করেন ওই ব্লকের নামখানা পঞ্চায়েতের বাসিন্দা স্নেহাশিস গিরি। সেই প্রেক্ষিতে তদন্তের নির্দেশ দিলেন নামখানার বিডিও। এই ঘটনায় শাসকদলের পাশাপাশি বিডিওর ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ বিজেপি নেতৃত্বের। দুর্নীতির কথা মানতে নারাজ ব্লক তৃণমূল নেতৃত্ব।
পঞ্চাদশ অর্থ কমিশনের টাকা পঞ্চায়েত এলাকায় রাস্তা, নিকাশি ও পানীয় জলের প্রকল্পে খরচ হয়। এই কাজের জন্য টেন্ডার হওয়ার পর সরাসরি ঠিকাদারের অ্যাকাউন্টে বরাদ্দ অর্থ চলে যাওয়ার কথা। কিন্তু অভিযোগকারী স্নেহাশিস গিরির অভিযোগ, এক্ষেত্রে ব্লকের নামখানা, বুধাখালি, হরিপুর, শিবরামপুর ও নারায়ণপুর পঞ্চায়েত এলাকায় ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকা সঠিকভাবে ব্যবহার হয়নি।
এই টাকা লেনদেনের ক্ষেত্রে একাধিক বেনিয়ম হয়েছে বলে অভিযোগ। পাঁচটি পঞ্চায়েত মিলিয়ে মোট ১৬৫টি লেনদেন উল্লেখ করে বেনিয়ম হয়েছে বলে দাবি স্নেহাশিসের। সেই তথ্যসহ গত জানুয়ারি মাসে নামখানার বিডিওর কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন স্নেহাশিস। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন নামখানার বিডিও অমিত সাহু।
তবে এই দুর্নীতি নিয়ে সরব হয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপির মথুরাপুর সাংগঠনিক জেলার সম্পাদক বিপ্লব নায়েক বলেন, “এই টাকা পুরোটাই লুঠ হয়েছে। অবিলম্বে এই লুঠের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। বিডিও দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার পরিবর্তে শাসকদলের পক্ষ নিয়েছে।”
তবে তৃণমূল নেতা তথা নামখানা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অভিষেক দাস দুর্নীতির কথা মানতে চাননি। অভিষেক বলেন, “পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকা প্রতিটি ধাপে নিয়ম মেনে কাজ করতে হয়। সেক্ষেত্রে এই অভিযোগের কোন সত্যতা নেই। তদন্ত হলে প্রমাণ হবে।”