দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ঘুটিয়ারি শরিফে বোমা বাঁধতে গিয়ে আহত এক। এলাকা থেকে উদ্ধার আগ্নেয়াস্ত্র, বোমা ও বন্দুক তৈরি সরঞ্জাম। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের মধ্যে এক জন মহিলা। যাঁর বয়স অন্ততপক্ষে ৭০। তিনি কীভাবে এই ঘটনায় জড়িত থাকতে পারেন, স্তম্ভিত পুলিশ কর্তারাও। জানা যাচ্ছে, ধৃতরা বিস্ফোরণের সময়ে ঘটনাস্থলে ছিলেন। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, সোমবার সকালে বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে ঘুটিয়ারি শরিফের মাখালতলা দীঘিরপাড় এলাকা।
স্থানীয় বাসিন্দারা শব্দের উৎস সন্ধানে গিয়ে দেখেন, গ্রামেরই একটি বাড়ির ছাদ ভেঙে পড়েছে। কালো কুণ্ডুলীকৃত ধোঁয়া বের হচ্ছিল। ভিতর থেকে গোঙানির শব্দ শুনতে পান তাঁরা। স্থানীয় বাসিন্দারা খবর দেন ঘুটিয়ারি শরিফ ফাঁড়ির পুলিশকে। পুলিশ গিয়ে ধ্বংসস্তূপের ভিতর থেকে একটা যুবককে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে। তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
যে বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণ হয়, সেখানে তল্লাশি চালিয়ে বেশ কিছু নমুনা সংগ্রহ করেছেন তদন্তকারীরা। উদ্ধার হয়েছে ১০ থেকে ১২টি বোমা । ওই বাড়ির মধ্যে আরও বোমা থাকতে পারে বলে অনুমান পুলিশের। এর পাশাপাশি ওই বাড়ি তল্লাশি চালিয়ে বাড়ির মধ্যে থেকে উদ্ধার হয়েছে দুটি এক নলা বন্দুক এবং বোমা ও বন্দুক তৈরির সরঞ্জাম। এই ঘটনায় তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। যার মধ্যে এক মহিলা রয়েছেন। অভিযুক্তদের আজ আদালতে পেশ করা হয়েছে।
ওই বাড়ি থেকে এত অস্ত্র ও বোমা কেন পাওয়া গেল, সেটাই বিচার্য। সেই দিকটাই খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। ওই বাড়ির সদস্যরা আদৌ কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত কিনা, নাকি কোনও চক্রের সঙ্গে জড়িত, সেটাও তদন্তসাপেক্ষ। ওই এলাকার স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলছেন তদন্তকারীরা। তাঁদের থেকেই ওই পরিবারের সদস্যদের সম্পর্কে খুঁটিনাটি তথ্য পেতে চাইছেন তাঁরা। পুরো বাড়িটি ঘিরে রেখেছে পুলিশ। ঘটনাস্থলে আসছে সিআইডি বম স্কোয়াড।