ক্যানিং: আবারও ক্যানিংয়ে গুলিবিদ্ধ এক তৃণমূল কর্মী সমর্থক। রাত্রিবেলা বাইক চালিয়ে বাড়ি ফেরার পথে আচমকা তাঁকে লক্ষ্য করে চলল গুলি। বর্তমানে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তিনি ভর্তি রয়েছেন চিত্তরঞ্জন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।
ঘটনাস্থল দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং। জখম ব্যক্তির নাম জসিমউদ্দিন মোল্লা। স্থানীয় সূত্রে খবর, শনিবার রাত্রিবেলা ক্যানিং থানার অন্তর্গত ইটখোলা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা থেকে ওই ব্যক্তি বাইক চালিয়ে বাড়িতে ফিরছিলেন। সেই হঠাৎ দুষ্কৃতীরা তাঁকে প্রথমে ঘিরে ধরে। এরপর গুলি চালায়। একটি গুলি এসে শরীরে লাগে তাঁর। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। তৃণমূল কর্মীর চিৎকারে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন এলাকাবাসী। এ দিকে, স্থানীয় বাসিন্দাদের আসতে দেখেই সেখান থেকে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। পরে জসিমউদ্দিনকে উদ্ধার করে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। খবর দেওয়া হয় ক্যানিং থানায়।
পরে গুলিবিদ্ধ ব্যক্তির শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে কলকাতার চিত্তরঞ্জন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, জসিমউদ্দিন এলাকায় সক্রিয় তৃণমূল কর্মী হিসাবে পরিচিত ছিলেন। এই বিষয়ে গুলিবিদ্ধ তৃণমূল কর্মী বলেন, ‘তিনজনকে চিনতে পেরেছি। যারা আমাকে গুলি করেছে। তার মধ্যে সাইবুল ঘোড়ামি ছিল, আমিরুল মোল্লা, হাঁসা ঘোড়ামি। আসলে প্রধানের সঙ্গে আমি চলাফেরা করি। ওদের বক্তব্য আমি ওনার সঙ্গে চলতে পারব না।’
উল্লেখ্য, দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল আজকের নতুন ঘটনা নয়। ঠিক একমাস আগে ওই এক তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য সহ সেখানে মোট তিনজন ব্যক্তি খুন হয়েছিলেন। রাস্তার ধারে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায় তাঁদের। প্রত্যেকের শরীরে ছিল এলোপাথাড়ি কোপ। রাস্তার ধারে পড়েছিল ছড়িয়ে ছিটিয়ে গুলির খোল, বোমার দাগ। সেইবারও বাইক আটকে হামলা করা হয়েছিল বলে পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছিল। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানা যায়, এক জনকে গুলি করে বাকি দুজনকে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে। গোটা ঘটনায় পুলিশ একজনকে গ্রেফতার করলেও এখনও অবধি অধরা মূল অভিযুক্ত। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে ফের একবার একই জায়গায় এমন গুলির ঘটনায় রীতিমত আতঙ্কিত সেখানকার বাসিন্দারা।