ভাঙড়: বুধবারের পর বৃহস্পতিবার সকাল হতেই ফের উত্তপ্ত হয় ভাঙড়। শ’য়ে-শ’য়ে কর্মী নিয়ে বিডিও অফিসের বাইরে জমায়েতের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। চলে বোমাবাজি। লাঠি-ঝান্ডা নিয়ে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরির অভিযোগ ওঠে। এই পরিস্থিতিতে কীভাবে মনোনয়ন জমা দেবেন আইএসএফ কর্মীরা তা নিয়ে চিন্তিত নওশাদ সিদ্দিকি।
এ দিন, নওশাদ বলেন, “আর কয়েক ঘণ্টা বাকি। আমাদের এখনও প্রচুর কর্মী রয়েছেন যাঁরা মনোনয়ন জমা দিতে পারেননি।” বিধায়ক জানান যে এই পরিস্থিতিতে তাঁদের কর্মীরা কীভাবে মনোনয়ন জমা দেবেন কিছুই বুঝে উঠতে পারছেন না। প্রশাসনও তাঁদের সেই ভাবে আশ্বাস দিচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন।
বস্তুত, মনোনয়ন পর্বেই (Panchayat Election 2023) রণক্ষেত্র ভাঙড় (Bhangar)। মুড়ি-মুড়কির মতো বোমা ফাটছে। অভিযোগ মূলত তৃণমূলের বিরুদ্ধে। আইএসএফ কর্মীরা আক্রান্ত হচ্ছে বলে অভিযোগ। ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে ভাঙড়ে। সেই কথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানাতে নবান্নে ছুটেছিলেন আইএসএফ (ISF) বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। কিন্তু এরপরও ঠান্ডা হয়নি পরিস্থিতি।
নওশাদ বললেন, “আজ তো শুনেছি সিপিএম প্রার্থীদেরও মনোনয়নে বাধা দেওয়া হয়েছে। আমাদের অনেক কর্মীরা এখানে রয়েছেন। দেখি আলোচনা করি, কীভাবে বিডিও অফিস যাব তার পরিকল্পনা করতে হবে।”
এ দিন উত্তপ্ত ভাঙড়ে আজ সিপিএম প্রার্থীর মনোনয়নে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। বিজয়গঞ্জ বাজারের কাছে বাম প্রার্থীদের আটকানোর অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। পরে পুলিশি মধ্যস্থতায় বিডিও অফিসে মনোনয়ন জমা দেন বাম প্রার্থীর। মামনী মণ্ডল নামে ওই বাম প্রার্থী বলেন, “তৃণমূলের লোকজন আটকাচ্ছিল। পুলিশ না থাকলে মনোনয়ন জমা দিতে পারতাম না। তবে এখানে আসার পথে হুমকি দিচ্ছে।”