ভাঙড়: এবার আর আইএসএফ কর্মী নয়। ভোটে হিংসার বলি সাধারণ মানুষ। সূত্রের খবর, মৃতের নাম রাজু মোল্লা (২৭)। মঙ্গলবার রাত্রিবেলা তিনি দিদির বাড়ি যাচ্ছিলেন। সেই সময় আচমকা বোমা গুলির মধ্যে পড়েন। তখনই প্রাণ হারান ওই ব্যক্তি।
বস্তুত, গতকাল নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর থেকেই উত্তপ্ত হয়ে কাঁঠালিয়া হাইস্কুল। পড়তে থাকে বোমা। ভেসে আসে গুলির শব্দ। আইএসএফের দাবি, তৃণমূলই এই কাণ্ড ঘটিয়েছে। ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি হয় সেখানে। আহত হন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও তাঁর নিরাপত্তারক্ষী।
যে সময় এই অশান্তি চলছিল জানা যাচ্ছে ওই একই সময় দিদি হাসিনা বিবির বাড়িতে যাচ্ছিলেন রাজু মোল্লা। তখনই গুলি গিয়ে পিঠে লাগে রাজুর। তাঁকে উদ্ধার করে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হলে রাজুকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। একমাত্র ভাইকে হারিয়ে দিদির আর্তি, ভোট-ভোট করেই সাধারণ মানুষের প্রাণ যাচ্ছে। এর বিচার করুন। তিনি বলেন, “ও মানসিক ভারসাম্যহীন। মাঝে-মধ্যেই আমার বাড়িতে আসত। কখন যে বেরিয়ে গিয়েছে জানি না। আজ ভোর পাঁচটার সময় জানতে পারলাম ওর গুলি লেগেছে।”
উল্লেখ্য, আজ ভোর থেকেই একের পর এক মৃত্যুর খবর আসে ভাঙড় থেকে। এই নিয়ে মোট তিনজন প্রাণ হারিয়েছে। এদের মধ্যে দু’জন আইএসএফ কর্মী। মৃতদের নাম রেজাবুল গাজি ও হাসান মোল্লা। উভয়ের পরিবারের অভিযোগ, আরাবুল ইসলাম তাঁর ছেলে ও শওকত মোল্লার দলবল মিলে এই কাণ্ড ঘটিয়েছে।