ক্যানিং: মনোনয়ন কেন্দ্রের আশপাশে ১৪৪ ধারা জারি করেও কোনও লাভ হল না। মনোনয়ন জমা দিতে গিয়ে মার খেয়ে ফিরতে হল এসইউসিআই প্রার্থীদের। অভিযোগ, বিডিও অফিসে মনোনয়ন পেশ করতে যেতেই হামলার শিকার হতে হয় তাঁদের। কয়েকজন নেতাকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। একদল দুষ্কৃতী এসে কাগজ কেড়ে নেয় ও মারধর করে বলে অভিযোগ। শাসক দলের বিরুদ্ধেই অভিযোগ তুলেছেন এসইউসিআই নেতারা। তাঁদের দাবি, তৃণমূলের কর্মীরা প্রশাসনের সঙ্গে যোগসাজশ করে এই ধরনের কাজ করছে।
সোমবার দুপুরে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয় ক্যানিং। ক্যানিং ১ নম্বর বিডিও অফিসে মনোনয়ন পত্র জমা দিতে গিয়েছিলেন এসইউসিআই প্রার্থীরা। অন্তত ১০ জনকে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এদিন গোপালপুর, হাটপুকুরিয়া সহ ক্যানিং ১ নম্বর ব্লকের ১৪ জন এসইউসিআই কর্মী মনোনয়ন জমা দিতে গিয়েছিলেন। বিডিও অফিসে ঢোকার মুখেই তাঁদের আটকে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ক্যানিং থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে দলের তরফে। ক্যানিংয়ের এসডিপিও ও থানার আইসির নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী পরে ঘটনাস্থলে যায় ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আক্রান্ত এসইউসিআই প্রার্থী মুজিবর মোল্লা জানিয়েছেন, প্রথমে তিনজন নেতা ভিতরে প্রবেশ করেন। অফিসে পৌঁছনোর পরই দুষ্কৃতীরা হাত থেকে কাগজপত্র ছিনিয়ে নেয় বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। মারধরের হুমকি দেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন। এসইউসিআই নেতা খোকন আখন্দ বলেন, ১৪৪ ধারা থাকা সত্ত্বেও অফিসের মধ্যে ৪০০-৫০০ লোক ঢুকল কীভাবে! পুরোটাই গেম প্ল্যান। প্রশাসনের সঙ্গে যোগসাজশ করে পরিকল্পনা করা হয়েছে। তৃণমূল কাউকে মনোনয়ন দিতে দেবে না। মহকুমা শাসক ও বিডিও-কে বিষয়টি জানানো হয়েছে বলে দাবি এসইউসিআই নেতার। অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ক্যানিং পশ্চিম কেন্দ্রের বিধায়ক পরেশ রাম দাস।
উল্লেখ্য, বারবার গন্ডগোলের অভিযোগ সামনে আসায়, রাজ্য নির্বাচন কমিশন মনোনয়ন কেন্দ্রের ১ কিলোমিটারের মধ্যে ১৪৪ ধারা জারির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ৪ জনের বেশি জমায়েত করা যাবে না বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।