সুন্দরবন: ক্যানিং থেকে গ্রেফতার হয়েছে জঙ্গি। উদ্বেগ বাড়ছে রাজ্যে। তাই যে কোনও রকম পরিস্থিতি এড়াতে কড়া পুলিশ প্রশাসন। বর্ষশেষ ও নতুন বছরের আগে সুন্দরবনের জলপথে জঙ্গি,সন্ত্রাসী ঢোকা আটকাতে নৌকা ও পর্যটকদের লঞ্চে নজরদারির পাশাপাশি তল্লাশি শুরু বারুইপুর জেলা পুলিশের।
বর্ষশেষ ও নতুন বছরের দোর গড়ায় সুন্দরবন। সেই সুন্দরবনের জলপথের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশ। আর এই জলপথ দিয়েই যাতে কোনও রকমের জঙ্গি কিংবা সন্ত্রাসবাদী নাশকতা ঘটাতে চলে আসতে না পারে সেই কারণেই এবার বাড়তি নজরদারি শুরু করেছে বারুইপুর জেলা পুলিশ। শুধুমাত্র জেলার আওতায় রয়েছে বাংলাদেশের জল সীমানার ৭২ কিলোমিটার।
তাই বর্ষশেষ ও নতুন বছরের আগেই বাড়তি সতর্ক গোসাবা থানা, সুন্দরবন উপকূল থানা,ঝড়খালি উপকূল থানা, কুলতলি থানা,মৈপীঠ উপকূল থানার পুলিশ কর্মীরা। বিশেষ করে যে সমস্ত ধীবরদের নৌকা বাংলাদেশ জল সীমানার দিকে যায় মাছ, কাঁকড়া ধরতে এবং এক দ্বীপ থেকে অন্য দ্বীপের সঙ্গে যোগাযোগকারী যাত্রী পরিবহনের নৌকাগুলোতেও এক যোগে এই বিশেষ তল্লাশির কাজ শুরু করেছে উপকূল থানার পুলিশ।গোসাবা ব্লকের সুন্দরবন উপকূল থানার পুলিশ কর্মীরা গোসাবার ব-দ্বীপ এলাকার বিভিন্ন ফেরি সার্ভিসের নৌকা গুলিতে যাত্রীদের ব্যাগে তল্লাশি চালানোর পাশাপাশি জেলেদের নৌকা ও পর্যটকদের বোট,লঞ্চ গুলোতেও জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে নিরাপত্তা জনিত কারণে। বাদ যাচ্ছে না পর্যটকদের বোট কিংবা লঞ্চ।
পুলিশের এই তৎপরতাই বাংলাদেশ নিয়ে উদ্বেগ থাকলেও খুশি পর্যটকরা। উল্লেখ্য দিন কয়েক আগে ক্যানিং হাসপাতাল মোড় এলাকা থেকেই। কাশ্মীর পুলিশ ও কলকাতা পুলিশের এসটিএফ ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার হয়েছে কাশ্মীরের মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি জাভেদ মুন্সি।ফলে সুন্দরবনের জল পথ যে জঙ্গিদের সেফ করিডর সেটা অনুধাবন করেই বছরের শেষে আটোসাটো নিরাপত্তা ব্যবস্থা করেছে বারুইপুর জেলা পুলিশ।