দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ভোট মিটলেও জারি সন্ত্রাস। ক্য়ানিংয়ের ইটখোলা গ্রামে তৃণমূলের (TMC) উপপ্রধান খতিব সরদার সহ তার অনুগামীদের এবার প্রকাশ্যে মারধর করার অভিযোগ উঠল আইএসএফ (ISF) কর্মীদের বিরুদ্ধে।
শাসক শিবিরের অভিযোগ, রবিবার বুধখালী গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল উপপ্রধান খতিব সর্দার ও তাঁর অনুগামীরা ম্যানগ্রোভ প্ল্যান্টেশনের জন্য জমি চিহ্নিত করতে যান। অভিযোগ, সেই সময়ে আচমকাই কুড়ি-পঁচিশ জন দুষ্কৃতী লোহার রড-লাঠি সোঁটা নিয়ে হামলা করে। মাথায় চোট পান তৃণমূল উপপ্রধান। মারধর করার পাশাপাশি খতিব সর্দারের গাড়িটিও ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। মারধর হামলার ঘটনায়, তৃণমূলের (TMC) ৬ জন কর্মী আহত হন বলে অভিযোগ। সকলেই ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
আক্রান্ত উপপ্রধান খতিব সর্দারের কথায়, “আমরা প্ল্যান্টেশনের কাজে যাচ্ছিলাম। তখন হঠাৎ করে আইএসএফের লোকেরা হামলা করে। আমার মাথায় লাঠি দিয়ে মারে। আমার সঙ্গীদের মারা হয়। আইএসএফের (ISF) নেতারা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে হামলা করেছে।” তৃণমূল বিধায়ক পরেশরাম দাস বলেন, “আমরা খোঁজখবর চালাচ্ছি। আইএসএফ এই হামলায় জড়িত। আমরা খোঁজখবর নিচ্ছি। কে বা কারা এই কাজটা করেছে।”
যদিও, এই ঘটনায় আইএসএফের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। উল্লেখ্য, নির্বাচনের সময় থেকেই আব্বাস সিদ্দিকীর দল আইএসএফের সঙ্গে তৃণমূলের বিরোধ অব্য়াহত। ভাঙড় ও ক্যানিং এলাকায় ভোট আবহে ও ভোটের পরেও একের পর এক সন্ত্রাস ও হিংসার ঘটনার একাধিক ছবিও সামনে এসেছে।
আরও পড়ুন: ‘সিট গঠন করাটা আইওয়াশ, কেন কেঁচো খুড়তে সাপ বের করছেন!’, ফিরহাদকে তীব্র আক্রমণ শুভেন্দুর