ডায়মন্ড হারবার: সোমবার পৌষ সংক্রান্তি। এদিন মকরস্নান। সাগরস্নানকে উপলক্ষ করে প্রতি বছর গঙ্গাসাগরে লক্ষ লক্ষ মানুষের ভিড় হয়। এবারও তার অন্যথা হয়নি। বুধবার থেকে গঙ্গাসাগর মেলা শুরু হয়েছে। শনিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৪৫ লক্ষ পুণ্যার্থী এসেছেন বলে জানালেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। এদিন সাংবাদিক সম্মেলন করেন তিনি। মন্ত্রী জানান, “শনিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৪৫ লক্ষ পুণ্যার্থী গঙ্গাসাগরে স্নান সেরে ফিরে গিয়েছেন।” ফি বছরই গঙ্গাসাগর মেলায় ভিড় রেকর্ড পার করে। এবারও সাগর মেলা নতুন রেকর্ড তৈরির পথে বলেই মনে করছে জেলা প্রশাসন।
এ বছর শাহিস্নানের যোগ রবিবার রাত ১২টা ১৩ মিনিট থেকে শুরু হচ্ছে। চলবে সোমবার দুপুর ১২ টা ১৩ মিনিট পর্যন্ত। এদিনই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে সাগরে যান অরূপ বিশ্বাস, সুজিত বসু, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়রা। পুণ্যার্থীদের সুবিধার জন্য এবার দশ হাজারের বেশি শৌচাগার তৈরি হয়েছে। বাবুঘাট থেকে কাকদ্বীপের লট নম্বর আট ও কচুবেড়িয়া থেকে সাগরমেলা পর্যন্ত আড়াই হাজার অতিরিক্ত বাস চালানো হচ্ছে।
৩৮টি ভেসেল, ৬টি বার্জ ও ১১০টি লঞ্চ চলবে জলপথে। কাকদ্বীপের লট নম্বর আট, কচুবেড়িয়া, বেনুবন মিলিয়ে এবার ২২টি জেটি করা হয়েছে। শনিবার রাতভর পুণ্যার্থী আসবে। ফলে প্রশাসনের এখন কড়া নজরদারি। ভিড় সামলাতে কলকাতা থেকে কাকদ্বীপ পর্যন্ত একাধিক বাফার জ়োন করা হয়েছে। সেখানে চাইলে বিশ্রাম নিতে পারেন পুণ্যার্থীরা।
মেলা প্রাঙ্গণে রয়েছে ৩৪টি ওয়াচ টাওয়ার। ১১০০ সিসি ক্যামেরা ও ড্রোনের মাধ্যমে নজদারি চলছে সবসময়। মেলা প্রাঙ্গণে ভিড় সামাল দিতে তৈরি করা হয়েছে ৫৪৮ ড্রপ গেট। ১৪ হাজার পুলিশ কর্মীর পাশাপাশি ২৪০০ সিভিল ডিফেন্সের কর্মীকে মোতায়ন করা হয়েছে।
শনিবার সকালে জেলাশাসক এলাকা ঘোরেন। পলিথিনের ব্যাগ ব্যবহার রুখতে প্রচার করেন তিনি। মেলার বেশ কিছু দোকান থেকে ক্যারিব্যাগ বাজেয়াপ্তও করা হয়। বদলে তুলে দেওয়া হয় পরিবেশবান্ধব ব্যাগ। ইতিমধ্যেই মেলাচত্বরে অসামাজিক কাজকর্মের অভিযোগে ১১৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মেলার শুরু থেকে এদিন পর্যন্ত পথ হারানো ৪১০ জনের মধ্যে ৩৯৪ জন পুণ্যার্থীকে বাড়ি ফেরানো হয়েছে। মেলার শুরু থেকে এখনও পর্যন্ত অসুস্থ৫ পুণ্যার্থীকে এয়ার লিফট করে কলকাতার হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।