কলকাতা: পারদ নামবে হু হু করে। আগেই পূর্বাভাস দিয়েছিল আবহাওয়া দফতর। তা সত্যি করেই গত দু’দিন ধরে প্রবল ঠান্ডায় জবুথবু গোটা বাংলা। ঠান্ডায় কাঁপছে গঙ্গাসাগর। গত কয়েকদিনের মতো এদিন ভোর থেকে উত্তুরে হাওয়ার জেরে পারদ নিম্নমুখী। তবে ঠান্ডাকে উপেক্ষা করে ভোরের আলো ফোটার আগে থেকে পুণ্যার্থীরা সাগরে ডুব দিতে শুরু করেছেন। সাগরের ৬টি স্নানঘাট কার্যত কানায় কানায় পূর্ণ। সাগরতটে চলছে গঙ্গাবন্দনা। কেউ কেউ প্রদীপ জ্বালিয়ে আরতিও করছেন৷ প্রদীপের নিয়ন আলো, ধূপ, ধুনোর গন্ধে মোহময় হয়ে উঠেছে মিলনতীর্থ সাগরমেলা। কেউ কেউ গরুর লেজ ধরে বৈতরণী পার হচ্ছেন।
এদিকে এদিন রাত ১২:১৩ মিনিট থেকে সোমবার দুপুর ১২:১৩ মিনিট পর্যন্ত মকর সংক্রান্তির শাহি স্নানের যোগ রয়েছে। তাতেই যেন ভিড়টা আরও কয়েক গুণ বেড়ে গিয়েছে। পা ফেলার জায়গা নেই কোথাও। কড়া পুলিশি নিরাপত্তার ব্যবস্থাও করা হয়েছে। রয়েছে সবরকম আপতকালীন ব্যবস্থাও। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে সাগরে গিয়েছেন অরূপ বিশ্বাস, সুজিত বসু, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়েরা। বুধবার মেলা শুরুর দিন থেকে শনিবার দুপুর বারোটা পর্যন্ত ৪৫ লক্ষ পুণ্যার্থী স্নান সেরেছেন বলে জানা গিয়েছে।
এদিকে রবির সকালে পুণ্যার্থীদের টুকরো টুকরো ছবির কোলাজে মেলা যেন আরও রঙিন ও বর্ণময় হয়ে উঠেছে। গোটা সাগরতট কড়া নিরাপত্তার চাদড়ে মুড়ে ফেলা হয়েছে। সাগরে টহল দিচ্ছে ভারতীয় নৌবাহিনী, উপকূল রক্ষী বাহিনী ও এনডিআরএফের স্পিডবোট। আকাশে ওড়ানো হচ্ছে ড্রোন। রবিবার দিনভর লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থী মেলায় আসবেন। সে কারণেই তটের একাধিক ওয়াচ টাওয়ার থেকে চলছে নজরদারি। এদিন সকাল থেকেই সাগরস্নানের পর কপিলমুনি মন্দিরের সামনে পুণ্যার্থীদের লম্বা লাইন দেখা যাচ্ছে। ভিড়ের চাপে প্রচুর পুণ্যার্থী নিখোঁজও হয়েছেন। মেলার মাইকে চলছে অনবরত ঘোষণা।