Bhangar: কলকাতা পুলিশ চার্জ নিতে না নিতেই ভাঙড়ে ‘বোমা উদ্ধার’! তুমুল বিক্ষোভ জমি কমিটির
Bhangar: পোলেরহাটের পুলিশের দাবি, পোলেরহাট থানার কোনও পুলিশই ওই এলাকায় যায়নি। লালবাজার থেকে কোন টিম খবর পেয়ে আসতে পারে। উত্তেজনার খবর পেয়ে সেখানে ছুটে গিয়েছে ভাঙড় ডিভিশনের ডিসি সৈকত ঘোষ।
ভাঙড়: প্রথম থানা প্রথম বিক্ষোভ! ভাঙড়ের পোলেরহাট থানার ঘটনা। ক’দিন আগেই কলকাতা পুলিশের নতুন ডিভিশন হচ্ছে ‘ভাঙড় ডিভিশন। তারমধ্যেই এবার সেখানে বিক্ষোভের আঁচ। থানার সামনে বিক্ষোভ ভাঙড়ের জমি জীবিকা বাস্তুতন্ত্র ও পরিবেশ রক্ষা কমিটির। হাজির জমি কমিটির মুখপাত্র অলীক চক্রবর্তী।
অভিযোগ, এলাকার মিদ্দে পাড়ায় হঠাৎই কলকাতা পুলিশের পোলেরহাট থানার পুলিশ গিয়ে বোমা উদ্বার হয়েছে বলে জানায়। ঘটনায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়ায় এলাকায়। এলাকায় সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত হয়ে কৌতূহলবশত বোমা দেখার আবদারও করে। কিন্তু, পুুলিশ কোনও বোমা দেখাতে পারেনি বলে অভিযোগ। পুলিশ বোমা না দেখাতেই থানার সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে জমি কমিটি। যদিও পোলেরহাটের পুলিশের দাবি, পোলেরহাট থানার কোনও পুলিশই ওই এলাকায় যায়নি। লালবাজার থেকে কোন টিম খবর পেয়ে আসতে পারে। উত্তেজনার খবর পেয়ে সেখানে ছুটে গিয়েছে ভাঙড় ডিভিশনের ডিসি সৈকত ঘোষ।
অলীক চক্রবর্তী বলেন, “একটা গ্রাম কমিটি তৈরির মিটিং ছিল সেখানে ছিলাম। হঠাৎ শুনলাম মিদ্দে পাড়ায় কারেন্ট অফ করে দেওয়া হয়েছে। তারপর শোনা গেল কিছু পুলিশ সেখানে কিছু খুঁজতে গিয়েছে। তারপর শোনা গেল বোমা খুঁজতে গিয়েছে। সেখানে পঞ্চায়েতের লোকজন থাকলেও তাঁদের সঙ্গে কোনও কথা বলেনি। ওরা নাকি বোমা খুঁজে নিয়ে চলে এসেছে। কোথা বোমা, কারা রাখল আমরা সেটাই জানতে এখানে এসেছি। থানার ছোটবাবু বললেন তাঁরা নাকি কিছুই জানেন না। লালবাজারের গোয়েন্দা শাখার পুলিশ এসে বোমা খুঁজে নিয়ে গিয়েছে। কলকাতা পুলিশ চার্জ নিল তিনদিনও হয়নি। এখন কোনও ঝামেলা নেই, কোনও কিছু নেই তারমধ্যে এটা অবাক করা ব্যাপার। আমাদের ধারনা, এলাকাকে বদনাম করার জন্য, জমি কমিটিকে বদনাম করার জন্য এসব চক্রান্ত করা হচ্ছে।”