গোসাবা: খালের পাশে পড়ে রয়েছে অসংখ্য বোমা (Bomb)। এ দৃশ্য দেখে চক্ষু চড়কগাছ গ্রামবাসীদের। কোথা থেকে ওখানে ওই বোমাগুলি এল সে বিষয়ে অন্ধকারে গোটা গ্রাম। সূত্রের খবর, এদিন জমির কাজ সেড়ে বাড়ি ফিরছিলেন এলাকার বাসিন্দারা। ফেরার পথে এলাকারই একটি খালে নজর পড়তেই চোখ কপালে ওঠে তাঁদের। দেখা যায় খালের জলে পড়ে রয়েছে অসংখ্যা বোমা। তাঁরাই তখন তড়িঘড়ি এলাকার অন্যান্য বাসিন্দাদের খবর দেন। বৃহষ্পতিবার সন্ধ্যায় চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটি ঘটেছে সুন্দরবনের (Sundarban) গোসাবা ব্লকের শম্ভুনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের ঝাউখালি গ্রামে।
কে বা কারা বোমাগুলি ওখানে রেখে গেল তা নিয়ে শুরু হয়েছে চাপানউতর। গ্রামবাসীরাই খবর দেন পুলিশে। খানিক পড়েই ঘটনাস্থলে আসে গোসাবা থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই খবর দেওয়া হয়েছে বোম স্কোয়াডকে। এদিকে এই খবর চাউর হতেই চাপানউতর তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলেও।
ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপির (BJP) তরফে জয়নগর সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক বিকাশ সর্দার বলেন, “সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। কিন্তু, আজকে সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত। এই দক্ষিণ ২৪ পরগনায় যখন তখন বোমা উদ্ধার হচ্ছে। যখন তখন বোমা বিস্ফোরণ হচ্ছে। সমস্ত বাংলা আজ বোমা শিল্পে পরিণত হয়েছে। আমাদের দাবি, যে সমস্ত মানুষেরা এই বোমা মজুত রেখে এলাকায় অশান্তির বাতাবরণ সৃষ্টি করছেন, সাধারণ মানুষকে ভয় দেখাচ্ছে তাঁদেরকে দ্রুত গ্রেফতার করতে হবে। তাঁদের কঠিন শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার খাতিরে এই কাজ করুক প্রশাসন।” তবে এ ঘটনার জন্য আবার বিজেপির দিকে আঙুল তুলেছে ঘাসফুল শিবির।
তৃণমূল নেতা পরিতোষ হালদার বলেন, “সম্প্রতি আমাদের কর্মী মনু মণ্ডলের উপরে বিজেপির দুষ্কৃতীরা হামলা চালায়। ওর উপর গুলি চালায়। এরপরই পুলিশ তল্লাশি চালায় শম্ভুনগরে, যেখানে আজ বোমা উদ্ধার হয়েছে। আমাদের মনে হয় পুলিশের ভয়ে বিজেপির দুষ্কৃতিরা বোমাগুলি ওখানে ফেলে দিয়েছিল। আজ জল কমে যাওয়ার ফলে মানুষের চোখে পড়েছে।”