দক্ষিণ ২৪ পরগনা: একটু একটু করে এগোচ্ছে নদীর জল। যতবার ধাক্কা খাচ্ছে, ততবার আস্তে আস্তে ভেঙে যাচ্ছে নদীর বাঁধ। সামনে ভরা কোটাল, তার আগে এ ভাবে জল এগোতে থাকলে গ্রামের পর গ্রাম ভেসে যেতে পারে, এমনটাই আশঙ্কা প্রকাশ করছেন গ্রামের বাসিন্দারা। দক্ষিণ ২৪ পরগনার হুগলী নদীর ধারে থাকা গ্রামগুলিতে চাষবাসেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়ে যেতে পারে বলে মনে করছেন বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, বাঁদ মেরামত করার কোনও উদ্যোগ নিচ্ছে না প্রশাসন।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলপি ব্লকের হাঁড়া- নস্করপাড়ার ঘটনা। শুক্রবার সকাল থেকে গ্রামবাসীরা দেখতে পান জলের তোড়ে ক্রমশ ভাঙতে শুরু করেছে মাটির বাঁধ। নদীগর্ভে তলিয়ে যাচ্ছে সেই বাঁধ। প্রায় ৩০ ফুটের বেশী মাটির বাঁধ তলিয়ে গিয়েছে বলে দাবি গ্রামবাসীদের। ধস আরও বাড়লে কোথায় আশ্রয় নেবেন, কী ভাবে বাঁচাবেন জমি, সেই আশঙ্কাতেই ভুগছেন তাঁরা।
সপ্তাহখানেকের মধ্যেই রয়েছে পূর্ণিমা, আসবে ভরা কোটাল। ষাঁড়াষাঁড়ির এই কোটালের প্রভাবে নদীর জলস্তর আরও বৃদ্ধি পাবে বলেই মনে করা হচ্ছে। তখন এই মাটির বাঁধ আরও ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকছে। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘আমরা খুব আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছি। ভেসে গেলে অনেক লোক ভেসে যাবে।’ প্রশাসনের তরফে থেকে কেউ আসেননি বলেও জানিয়েছেন ওই বৃদ্ধ।
এই বাঁধের পাশ দিয়ে মানুষ যাতায়াত করেন প্রতিনিয়ত। প্রশাসন অবিলম্বে কোনও ব্যবস্থা না নিলে আগামিদিনে পুরো এলাকা জলমগ্ন হয়ে যেতে পারে। ডায়মন্ড হারবারের মহকুমাশাসক অঞ্জন ঘোষ এই খবর পেয়ে সেচ দফতরের আধিকারিকদের ঘটনাস্থলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। মাটি ও বালির বস্তা ফেলে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে কুলপির বিধায়ক যোগরঞ্জন হালদার জানান, এ দিন সকালে ধসের কথা শুনেছেন তিনি। পরিস্থিতির কথা জানিয়ে চিঠিও দিয়েছেন সেচ দফতরকে। তিনি জানান, দ্রুত ব্যবস্থা না নেওয়া হলে অনেক গ্রাম জলমগ্ন হয়ে যাবে। শুধু তাই নয় এলাকায় কৃষিকাজের ব্যাপক ক্ষতি হবে বলেও মনে করছেন তিনি।