দক্ষিণ ২৪ পরগনা: লরিতে যান্ত্রিক কিছু গোলোযোগ দেখা দিয়েছিল। রাস্তার ধারে লরিটিকে দাঁড় করিয়ে মেরামতি করছিলেন চালক ও খালাসি। সে সময়েই উল্টো দিক থেকে সজোরে একটা বালি বোঝাই ডাম্পার এসে ধাক্কা মারে। একেবারের ডাম্পারের নীচে ঢুকে যান দু’জন। বাকি দু’জনের শরীর আটকে যায় লরিতেই। একটি লরির সঙ্গে বালি বোঝাই ডাম্পারের ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছে চার জনের। বুধবার ভোরে মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার কোতুলপুর থানার রায়বাঘিনী মোড়ের কাছে। ঘটনায় ১৩ টি গরুরও মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। কারণ ওই লরিটিতে গরু বোঝাই করে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।
এদিকে, যে চারজন মারা গিয়েছেন তাঁদের বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। মর্মান্তিক বিষয় হল এদের মধ্যে দু’জন একই পরিবারের। সম্পর্ক তাঁরা দুই ভাই। এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ের দুর্গাপুরের পাত্রপুকুর গ্রাম। সেখানেই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে। মৃতদের নাম হাফিজুল গাজী (২৪), কাদেরুল গাজী (৩৫), শুকুর আলী গাজী (৩০), জাফর মোল্লা (৩৪)। এদের মধ্যে প্রথম তিনজনের বাড়ি ভাঙড় থানার শাঁকশহর গ্রামে। চতুর্থ জনের বাড়ি ভাঙড়ের দুর্গাপুরের পাত্রপুকুরের গ্রামে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মঙ্গলবার পেশায় গরু ব্যবসায়ী কাদেরুল গাজী ও তাঁর ভাই হাফিজুল গাজীর সঙ্গে ছ’জন বাঁকুড়ায় গরু কিনতে যাচ্ছিলেন। সেখানে কোতুলপুর থানা এলাকায় একটি মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ওই চারজনের। পাশাপাশি মৃত্যু হয় দুই ভাইয়ের। তাঁদের মৃত্যুতে এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
জানা গিয়েছে, কাদেরুল গাজীর বাড়ি পাশেই থাকেন শুকুর আলী গাজী। দিন কয়েক আগে শুকুর আলী গাজীর বাবার মৃত্যু হয়েছে।এ দিকে, এই মৃত্যুর ঘটনায় প্রতিবাদে নেমেছেন গ্রামবাসীরা।বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে ইতিমধ্যে রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
এই বিষয়ে মৃতের পরিবারের এক আত্মীয় বলেন, ‘আমার বোনের বর হয়। রাত্রিবেলা গরু আনতে বেরিয়েছিল। প্রায় দেড়টা-দু’টো নাগাদ গাড়ির টায়ার পাম্পচার হয়ে যায়। এরপর ওরা টায়ার খুলে লাগাচ্ছিল। সেই সময় পাথর বোঝাই একটি লরি এসে ধাক্কা মারে। সেই ধাক্কাতেই মারা যান চারজন। পুরো পিষে দিয়ে চলে যায় লরিটি। মোট আটজন গিয়েছিল। তারমধ্যেই এই দুর্গতি।’