দক্ষিণ ২৪ পরগনা: সাগরমেলার পুণ্যার্থীদের কাছে ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায় মুড়িগঙ্গা নদী। নদীতে ক্রমাগত পলি জমার কারণে ভাটার সময় দিনে ৫ থেকে ৬ ঘন্টা ভেসেল পরিষেবা বন্ধ রাখতে হয়। ফলে মেলার সময় কাকদ্বীপের লট নম্ব আট ও সাগরের কচুবেড়িয়ার ঘাটগুলোতে লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থী আটকে পড়ে। এবার সেই সমস্যা দূর করতে এবারের মেলায় ভেসেলের পাশাপাশি ৮টি বড় বার্জ মুড়িগঙ্গা নদীতে চালানো হবে যাত্রী পরিবহনের জন্য। প্রত্যেকবার একটি করে বার্জ প্রায় আড়াই হাজারের বেশি তীর্থযাত্রী বহন করতে পারবে।
সোমবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা, সুন্দরবনের পুলিশ সুপার কোটেশ্বর রাও এরকম একটি বার্জ ঘুরে দেখলেন প্রশাসনিক আধিকারিকদের নিয়ে। পাশাপাশি ইশরোর বিশেষ প্রযুক্তির ডিভাইস লাগানো থাকবে এই বার্জগুলোতে। আর সেই ডিভাইসকে কাজে লাগিয়ে অ্যাপের মাধ্যমে বার্জের লোকেশন জানার পাশাপাশি নদীর জলের নাব্যতাও জানতে পারবে ভেসেলের চালক বা সারেঙ।
এমনকি অন্ধকার বা কুয়াশার মধ্যে ভেসেল এবং বার্জের সারেঙ এই অত্যাধুনিক ডিভাইসের সাহায্য নিয়ে সঠিক গন্তব্যে পৌঁছবে। এমনকি কন্ট্রোল রুম থেকে সারেঙদের সঙ্গে যোগাযোগের জন্যও স্যাটেলাইট ফোনের ব্যবহার করা হবে। এছাড়া কুয়াশার জন্য মুড়িগঙ্গার নদী পথে আধুনিক বিদেশি আলো বসানো হবে। যেগুলি বিমানবন্দরে থাকে। মূলত পরিবহন ব্যবস্থাকে মসৃণ করতে জেলা প্রশাসন একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।