Minor Harassment: ধর্ষিতার নিজের স্কুলই ভর্তি নিতে চাইছে না, দোহাই ‘অভিভাবকদের আপত্তির’

TV9 Bangla Digital | Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Aug 02, 2022 | 7:11 PM

kasipur: ঘটনাস্থল দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাশীপুর। অভিযোগ, এলাকার এক যুবকের বিরুদ্ধে নাবালিকাকে যৌন নির্যাতন করে ছবি ব্ল্যাক মেলের অভিযোগ উঠেছিল

Minor Harassment: ধর্ষিতার নিজের স্কুলই ভর্তি নিতে চাইছে না, দোহাই অভিভাবকদের আপত্তির
প্রতীকী চিত্র

Follow Us

কাশীপুর: গত ৯ জুন। এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে নাম জড়ায় পাড়ারই এক যুবকের। ঘটনার বিষয়ে এক পঞ্চায়েত সদস্যকে ওই নির্যাতিতা অভিযোগ জানিয়েছিল। তবে কাজের কাজ কিছুই হল না। উল্টে মেয়েটির কিছু ছবি নিয়ে ব্ল্যাকমেল করার অভিযোগ খোদ ওই সদস্যের বিরুদ্ধে। পরে নাবালিকা থানায় অভিযোগ দায়ের করে। তবে ‘অমানবিক’ ঘটনা ঘটল এরপর। স্কুলে মেয়েটি যখন ভর্তি হতে গেল অভিযোগ তাকে প্রধান শিক্ষক ভর্তি তো নিলেন না উল্টে তাঁর দাবি অন্য স্কুলে যেন ভর্তি হয় সে। এতে স্থানীয় ঝামেলা থেকে বেঁচে যাবে। তবে পরিবারের অভিযোগ, যেহেতু এই ঘটনায় নাম জড়িয়েছে স্থানীয় তৃণমূল নেতার সেই কারণেই এমন সিদ্ধান্ত।

ঘটনাস্থল দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাশীপুর। অভিযোগ, এলাকার এক যুবকের বিরুদ্ধে নাবালিকাকে যৌন নির্যাতন করে ছবি ব্ল্যাক মেলের অভিযোগ উঠেছিল। পরে নির্যাতনের সেই ঘটনা মেয়েটি এলাকার তৃণমূল পরিচালিত এক পঞ্চায়েত সদস্যকে জানায়। এবার ব্ল্যাকমেলের বিচার করতে গিয়ে খোদ তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য মেয়েটিকে বারংবার ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। অভিযুক্ত নেতা এলাকার দাপুটে আর এক তৃণমূল নেতার ঘনিষ্ঠ বলে জানা গিয়েছে। পরে বিচারের আশায় মেয়েটি ও তার পরিবার কাশিপুর থানায় ব্ল্যাকমেলের অভিযোগ দায়ের করেন। তবে এরপর থেকেই স্কুলে ভর্তি হতে পারছে না নির্যাতিত। এমনটাই অভিযোগ পরিবারের।

জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার স্কুলে ভর্তি হতে গেলে প্রধান শিক্ষক জানান, মেয়েটির ভর্তি নিয়ে অনেক অভিভাবকের আপত্তি। সেই কারণে অন্য বিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার কথা জানানো হয় তাঁকে। নির্যাতিতা বলে, ‘আমি ওই স্কুল থেকে মাধ্যমিক পাশ করেছি। আমার পাড়ার এক যুবক ও পঞ্চায়েত সদস্য আমার সঙ্গে যা করেছে তার জন্য আমার একটা বছর নষ্ট হয়েছে।এখন ভর্তি হতে গেলে স্যারেরা ভর্তি নিচ্ছেন না। প্রধান শিক্ষক বলছেন তোমার ভর্তি নিয়ে অনেক অভিভাবক আপত্তি জানিয়েছেন। এখানে ভর্তি না হওয়া ভাল। তুমি অন্য বিদ্যালয়ে ভর্তি হও।’

এরপর ছাত্রীটি কলকতার লেদার কমপ্লেক্স থানায় দ্বারস্থ হন ভর্তি নিয়ে। পুলিশের পক্ষ থেকেও অনুরোধ করা হয় ভর্তি নেওয়ার জন্য। তবে তারপরও কর্ণপাত করেননি কেউ। এই বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক বলেন, ‘ভর্তি নেব না একথা বলিনি।তবে আমি ওঁকে বলেছি বিকল্প কিছু ভাবতে।রবীন্দ্র মুক্ত বিদ্যালয়ে ভর্তি হলে স্থানীয় ঝামেলা থেকে ও বেঁচে যাবে।’

 

 

 

 

 

 

 

Next Article