কলকাতা: স্কুলে গোলমাল। শিক্ষকদের মারধরের অভিযোগ। হাইকোর্ট পর্যন্ত গড়িয়েছে সেই বিষয়টি। কড়া নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। প্রধান শিক্ষকের স্কুলে ঢোকা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, অভিযুক্তদের অবিলম্বে গ্রেফতারিরও নির্দেশ দিয়েছেন। আর তা নিয়েই এখন সংবাদ শিরোনামে নরেন্দ্রপুরের বলরামপুর এমএন বিদ্যামন্দির স্কুল। এদিকে সামনেই মাধ্যমিক পরীক্ষা। পড়ুয়াদের স্কুল জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা। নরেন্দ্রপুরের এই স্কুলেও সিট পড়েছে মাধ্যমিক পরীক্ষার। ঘটনা পরম্পরা যেভাবে এগোচ্ছে, তাতে মাধ্যমিক পরীক্ষা কীভাবে হবে এই স্কুলে, তা নিয়ে সংশয় জাগছিল অনেকের মনেই।
মঙ্গলবার দুপুরে নরেন্দ্রপুরের এই বলরামপুর এমএন বিদ্যামন্দিরে আসেন এসডিও চিত্রদ্বীপ সেন ও বিডিও শিঞ্জিনী সেনগুপ্ত। এই স্কুলে যেহেতু মাধ্যমিকের সিট পড়েছে, তাই সামগ্রিক ব্যবস্থাপনা খতিয়ে দেখতেই এদিন স্কুলে আসেন এসডিও এবং বিডিও। সেদিনের ঘটনায় স্কুলের যে শিক্ষক-শিক্ষিকারা আক্রান্ত হয়েছিলেন বলে অভিযোগ, তাঁদের সঙ্গেও কথা বলেন এসজিও ও বিডিও। পরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এসডিও চিত্রদ্বীপ সেন জানান, আপাতত এই বলরামপুর এমএন বিদ্যামন্দিরের তত্ত্বাবধানে থাকবেন বিডিও শিঞ্জিনী সেনগুপ্ত। প্রশাসনের তত্ত্বাবধানেই হবে এই স্কুলের মাধ্যমিক পরীক্ষা।
প্রসঙ্গত, নরেন্দ্রপুরের বলরামপুর এমএন বিদ্যামন্দির স্কুলের এই ঘটনায় অভিযুক্তের তালিকায় রয়েছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষকও। হেড মাস্টার-সহ মোট চারজনের নামে এফআইআর করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত দু’জনকে এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে এবং তারা নিজেদের তৃণমূল সমর্থক বলে পরিচয় দিয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। যদিও সূত্রের খবর, ধৃত দু’জন দাবি করছেন তাঁদের ফাঁসানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, আজ হাইকোর্টে মামলার শুনানিতে কড়া মন্তব্য করেছেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। তিনি বলেছেন, ‘গ্রেফতারের ক্ষেত্রে কোনও চাপ থাকলে আজ তাঁদের জন্য সবচেয়ে খারাপ দিন হবে। মাধ্যমিক পরীক্ষার আগেই তাঁদের গ্রেফতার করুন।’