ডায়মন্ড-হারবার: সম্পর্কে অনেকই জড়িয়ে পড়েন। কিন্তু, সেই সম্পর্ককে ভাঙিয়ে সেটা নিয়ে ব্ল্যাকমেল? তা অপরাধ তো বটেই। ডায়মন্ড-হারবারের জনপ্রিয় চিকিৎসক কল্যাণাশিস ঘোষের মৃত্যু অনেক প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। বিরোধীরা অভিযোগ করছে এটা কোনও একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, একটা চক্র কাজ করছে। যে চক্রে শুধু ডাক্তারবাবু নয়, আরও অনেকেই নাকি জড়িয়ে পরেছিলেন। সটাই কী কাল হল কল্যাণাশিস বাবুর! নাম জড়িয়েছে এক বার মালিক, তাঁর প্রাক্তন স্ত্রী, দুই পুলিশ কর্মীরও।
চিকিত্সকের আত্মহত্যা নিয়ে আমারা তাঁর পরিবারের সঙ্গেও যোগাযোগ করি। প্রয়াত ডাক্তারবাবুর স্ত্রী যা দাবি করছেন, তাতে আরও প্রশ্ন উঠছে। কোনও অপ্রিয় সত্যি কী জেনে ফেলেছিলেন ডাক্তারবাবু? সেই জন্যই কী মাত্রাছাড়া অত্যাচারর মুখে পরতে হয়েছে তাঁকে? উঠছে প্রশ্ন। সূত্রের খবর, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফাঁকা হয়ে গিয়েছিল কল্যাণাশিস বাবুর। এলাকায় কান পাতলে শোনা যায়, চিকিত্সককে ব্ল্যাকমেল করা টাকায় শাড়ির ব্যবসা পেতে ছিলেন ধৃত রিয়া। টাকার ভাগ পেত তাঁর ডিভোর্স দেওয়া স্বামীও। ডাক্তারবাবু কী সোনার ডিম পাড়া হাঁস ছিল এই প্রতারকদের কাছে? তাই কী নেশায় ডুবিয়ে রাখার চেষ্টা হত চিকিত্সককে? ঘটনার কিছুদিন আগে শরীরে অনেক আঘাতের চিহ্ন স্ত্রীকে দেখিয়েছিলেন।
প্রয়াত চিকিত্সকের স্ত্রী বলছেন, “ওই মেয়েটি একাধিক প্রশাসনের টপ টপ লোকের সঙ্গে এটা করেছে। এটাই ওর স্বভাব। ওর স্বামীর সঙ্গে ডিভোর্সের নাটক করে। সমাজের প্রতিষ্ঠিত লোকেদের সঙ্গে এটা করেছে ও। আমার কাছে প্রমাণ আছে।” প্রয়াত চিকিত্সকের স্ত্রী এবং পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। তবুও তারা ভরসা রাখছেন পুলিশের ওপরই।