BJP: শয্যাশায়ী রেজ্জাক, দেখা করলেন বিজেপি প্রার্থী, পায়ে হাত দিয়ে নিলেন আশীর্বাদ, মাপলেন প্রেশার
BJP: বাম শাসনকালে দীর্ঘদিন রাজ্য মন্ত্রীসভার সদস্য ছিলেন রেজ্জাক মোল্লা। ২০১১ সালে রাজ্যে পালা বদলের পর যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূলে। সেখানেও মন্ত্রিত্ব পেয়েছিলেন। কিন্তু বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে রাজনীতির ময়দান থেকে তিনি দূরে।

ক্যানিং: এক সময় দোর্দণ্ড প্রতাপ নেতা ছিলেন। গোটা দক্ষিণ ২৪ পরগনা চলত কার্যত তাঁর কথায়। সোজাসাপটা কথা বলতে বরাবরই পছন্দ করতেন। তা নিয়ে দলের অভ্যন্তরে নেতৃত্বকে অনেক সময়ই বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছিল। প্রথমে সিপিএম ও পড়ে তৃণমূল কংগ্রেসকে নেতৃত্ব দেওয়া সেই রেজ্জাক মোল্লা বর্তমানে শয্যাশায়ী। বার্ধক্যজনিত কারণে অসুস্থ। তাঁর অসুস্থতার খবর পেয়েই তাঁকে দেখতে গেলেন জয়নগর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অশোক কাণ্ডারি। বৃহস্পতিবার বিকালে ক্যানিং পূর্ব বিধানসভা এলাকায় নির্বাচনী কর্মীসভায় গিয়েছিল তিনি। সেখান থেকে রেজ্জাক মোল্লার গ্রামের বাড়ি বাকড়িতে যান বিজেপি প্রার্থী। রেজ্জাক মোল্লার শারীরিক অসুস্থতার খোঁজ খবর নেন। কথা বলেন ‘চাষার ব্যাটা’ নামে খ্যাত রেজ্জাকের সঙ্গে। ভোটে জয়ের জন্য তাঁর আশীর্বাদও নেন বিজেপি প্রার্থী।
বাম শাসনকালে দীর্ঘদিন রাজ্য মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন রেজ্জাক মোল্লা। ২০১১ সালে রাজ্যে পালা বদলের পর যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূলে। সেখানেও মন্ত্রিত্ব পেয়েছিলেন। কিন্তু বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে রাজনীতির ময়দান থেকে তিনি দূরে। দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ তিনি। নানারকম শারীরিক সমস্যা দেখা দিয়েছে। বর্তমানে রয়েছেন গ্রামের বাড়িতে। শোনা যায়, বাম বা তৃণমূল কোন নেতাই এখন আর রেজ্জাক মোল্লার খোঁজখবর নেন না সেভাবে।
অভিযোগ, রাজনৈতিক সন্ত্রাসের কারণে গত বিধানসভা ভোটে বিজেপি প্রার্থী কার্যত ক্যানিং পূর্ব বিধানসভা এলাকায় ভোটের প্রচারই করতে পারেননি। লোকসভা ভোটের প্রচার অনেকদিন আগে শুরু করলেও সেভাবে এই ক্যানিং পূর্ব বিধানসভা অর্থাৎ শওকত মোল্লার ডেরায় প্রচার শুরু করেননি বিজেপি প্রার্থী। হাতে আর মাত্র কয়েকটা দিন, তাই এবার কোমর বেঁধে প্রচারের ময়দানে নেমে পড়েছেন বিজেপি নেতা কর্মীরা। বৃহস্পতিবার তাড়দাঁ এলাকায় নির্বাচনী কর্মীসভায় এসেছিলেন বিজেপি প্রার্থী অশোক। সেখানে এসে তিনি খবর পান অসুস্থ রেজ্জাক মোল্লা রয়েছেন গ্রামের বাড়িতেই। তাই তাঁর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে চলে আসেন তিনি। কথা বলেন বেশ খানিকক্ষণ। পায়ে হাত দিয়ে আশীর্বাদ নেন এই পোড় খাওয়া বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদের।
