ভাঙড়: দুর্নীতি ইস্যুতে কার্যত কোণঠাসা রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। একাধিক নেতা জেলবন্দি। বাদ যায়নি মন্ত্রী-বিধায়কের নামও। সেই দুর্নীতির শিকড় বুথ স্তরের নেতাদের মধ্যে ছড়িয়ে আছে, সে কথা কার্যত মেনে নিলেন ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক তথা ভাঙড় বিধানসভার পর্যবেক্ষক শওকত মোল্লা। শুক্রবার এক সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি শুধু আইএসএফ-কে দোষ দেব না। আমাদের নেতাদেরও দোষ আছে।’ তবে সেই সব দলীয় কর্মী, যাঁরা টাকা নিয়ে থাকেন বলে বিধায়কের দাবি, তাঁদের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিধায়ক। দোষ প্রমাণিত হলে দল থেকে বের করে দেওয়া হবে বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।
শুক্রবার ভাঙড়ের ফুলবাড়ি এলাকায় একটি সভায় উপস্থিত হয়েছিলেন শওকত মোল্লা। সমাজের কাছে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীদের দায়বদ্ধতার কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, আইএসএফ-কে দোষ দেব না। আমাদের নেতাদেরও দোষ আছে। আমাদের কিছু ভিখারি নেতা আছেন। তাঁদের কাজ কী? হাত পেতে টাকা নেওয়া। ঘরের জন্য দাও পাঁচ হাজার-দশ হাজার। বিচারের জন্য দাও পাঁচ হাজার-দশ হাজার। রাস্তার জন্য দাও পাঁচ-দশ হাজার। আমি আমার বিধানসভায় নতুন নিয়ম চালু করেছি। কোনও নেতা গরিব মানুষের কাছ থেকে পাঁচ টাকা নিলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাঁকে দল থেকে বের করে দেওয়া হবে।
পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, বুথ স্তরের কিছু নেতা আছেন, যাঁদের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। আগাম জামাতে চাই। আমাদের দল দুর্নীতিতে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়েছে। টাকা নেওয়ার খবর পেলেই তদন্ত হবে। দোষ প্রমাণিত হলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দল থেকে তাড়িয়ে দেব।
শওকত মোল্লার এমন মন্তব্যকে স্বাগত জানিয়েছেন ভাঙড়ের তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কাইজার আহমেদ। তিনি বলেন, ‘আমরা যারা স্বচ্ছ রাজনীতি করি, এটা তাঁদের সকলের দাবি। শুরু থেকেই আমরা একথা বলে এসেছি। দল যাতে সুশৃঙ্খলভাবে চলে, তার জন্যই শওকত মোল্লা এমনটা বলেছেন।’